পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনুষ্যত্বের মহাতাপস মণীন্দ্রচন্দ্র । (কলিকাতা ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েসন হলে মুর্শিদাবাদ সন্মিলনী কর্তৃক আহুত শোক-সভায় পঠিত। ) তোমার জীবনকালে চিরস্মরণীয় পবিত্র স্থতি মৃত্যুতে অমর হইয়া রছিল । তাহার পূজার জন্ত কোনও আয়োজন আড়ম্বরের প্রয়োজন নাই ;—সমগ্র বাঙ্গালী জাতির নিত্যনৈমিত্তিক কৰ্ম্ম ও চিন্তার মধ্যে তোমার আলোকসামান্ত চরিত্র, অনন্তসাধারণ কর্মের যে জীবন্ত স্মৃতি— নূতন করিয়া তাহার কি উদ্যাপন করিব ? তোমার মৃত্যু তোমার চারিদিকে যে অনস্ত অবকাশ রাথিয়া গেল তাহ আজ সমগ্র জাতিকে নূতন করিয়া তোমাকে চিনিবার সুযোগ দিয়াছে। তোমার স্থতি আজ মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহের মত জনসাধারণের নিকট হইতে পূজার অর্ঘ্য লইয়া ধন্ত করিতেছে । রাজার অপরিমিত ঐশ্বৰ্য্যের মধ্যে তুমি ত্যাগ-ব্রতকে জীবনের পরম সাধনা করিয়াছিলে—সহস্ৰ নরনারীর হৃদয়কমলে তাই তোমার সিংহাসন প্রতিষ্ঠিত—আজি নিদারুণ বিয়োগ-দুঃখের মধ্যে তোমাকে স্বরণ করিয়া দেখিতেছি যে দেহাবসানে তোমার কীৰ্ত্তি আরো উজ্জল হইয়া উঠিয়াছে । —বিপদে আশ্রয় দিয়াছ, সম্পদে সন্তোষ প্রকাশ করিয়াছ ; দুঃখে কাদিয়া, মুখে হাসিয়া তুমি পরমাত্মীয়ের মত মানুষের সছিত মানুষের সম্বন্ধকে গভীর হইতে গভীরতর করিয়া গিয়াছ—তোমাকে বস্তুজগতে যে হারাইলাম, আমাদের কল্যাণ-কৰ্ম্মে, সামাজিক অম্বষ্ঠানে, রাষ্ট্র সমস্তায় ৰে তোমাকে আর আমাদের মধ্যে অগ্রণীরূপে দেখিতে পাইৰ না—এই অন্থস্থতিই আজ বিহবল করিয়া তুলিতেছে।