পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজ্য লাভ X (t মানুষের সকল ক্ষমতাই সেখানে ব্যর্থ। ক্রমে ঈর্ষাপরায়ণ প্রতিদ্বন্দ্বীদিগের হীন ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হইয়া গেল। মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্র নবীন ভূম্যাধিকারীরূপে মহোৎসাহে কৰ্ত্তব্যকৰ্ম্মে মনোনিবেশ করিলেন। রাজ্যলাভের পরই তিনি মহারাণী স্বর্ণময়ীর বিশ্বস্ত এবং হিতৈষী কৰ্ম্মচারীবর্গ ও অন্যান্য পরিজন গণকে সমাদর ও সম্মান দ্বারা বিস্মিত করিতে লাগিলেন। ক্রমে ক্রমে সকলের প্রাণেই মহারাজা সম্বন্ধে নবীন আশার ভাব জাগিয়া উঠিতে লাগিল । মহারাজা বাহাদুর উপাধি মহারাণী স্বর্ণময়ীর নিকট ভারত সরকার র্তাহার উত্তরাধিকারীকে ‘মহারাজা’ উপাধি দিতে প্রতিশ্রুত ছিলেন। মহারাণীর পরলোক গমনের পর তাহার পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে মনীন্দ্র চন্দ্রের ন্যায় সৰ্ব্বগুণশালী ও সৰ্ব্বাপেক্ষা যোগ্য উত্তরাধিকারী নিৰ্ব্বাচিত হওয়ায় ভারত সরকার পরম সন্তুষ্টচিত্তে এবং সম্পূর্ণ অসঙ্কোচে মনীন্দ্র চন্দ্রকে ‘মহারাজা’ উপাধীতে ভূষিত করিলেন। ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দের ৩০শে মে তারিখে কঠোর জীবন সংগ্রামে জয়ী মনীন্দ্র চন্দ্র কাশিম বাজারের ‘মহারাজা বাহাদুর হইলেন । এই সুখ সৌভাগ্য লাভ করিবার পূৰ্ব্বে বাচিয়া থাকিবার জন্য জন্ম মৃত্যুর সংগ্রামের মত যে কি বিরাটসংগ্রাম মনীন্দ্র চন্দ্রকে করিতে হইয়াছিল তাহা তাহার জীবনী লইয়া