૨8 মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র সংসারের অবস্থা বিশৃঙ্খল হইয়া পড়িয়াছিল। বিশেষতঃ নিয়ত দানধ্যান ও ব্যয়শীলতার জন্য রাজসংসারে আর্থিক অবনতির সূচনা দেখা গিয়াছিল । রাজা কৃষ্ণনাথ আত্মহত্যা করিবার সময় স্বকীয় সমস্ত সম্পত্তি কেবল মাত্র মহারাণী স্বর্ণময়ীর স্ত্রীধন ও অলঙ্কার বাদ রাখিয়া কোম্পানী বাহাতুরের নামে উইল করিয়া যান। বলা যায় না তিনি কেন এরূপ কাৰ্য্য করিয়া নিজের সম্পত্তি স্বেচ্ছায় পরের হাতে তুলিয়া দিয়া গিয়াছিলেন, তবে একটা কথা জানা যায় যে আত্মহত্যা করিবার কিছুকাল পূৰ্ব্ব হইতেই তাহার মস্তিষ্ক বিকৃত হইয়াছিল। এবং এই অপ্রকৃতিস্থ অবস্থাতেই তিনি আত্মহত্যা করিয়াছিলেন । সুতরাং বুঝা যায়, উন্মাদ অবস্থায় ফলাফল বিবেচনা না করিয়াই তিনি অতুল সম্পত্তিতে অপরের অধিকার দান করিয়া গিয়াছিলেন। মহারাণী স্বর্ণময়ীও বিষয় বুদ্ধিশালিনী ছিলেন । স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি উইলের মৰ্ম্মানুযায়ী সমস্ত সম্পত্তিতে কোম্পানির অধিকার ছাড়িয়া দেন । মহারাণীর সে সময়ের অবস্থার কোন বর্ণনা করা চলে না। রাজরাণী সহসা ভিখারিণী হইয়া গেলেন । কিন্তু অপরিসীম ধৈর্য্য ও মনুষ্যত্ব সহকারে তিনি এই বিপদরাশি শিরে বহন করিয়া দুঃখে দিন যাপন করিতে লাগিলেন। পরে তিনি অসামান্ত বুদ্ধিপ্রভাবে সুপ্রীম কোর্টে কোম্পানী বাহাদুরের নামে মোকৰ্দমা করিয়া রাজা কৃষ্ণনাথের মস্তিষ্ক বিকৃতি প্রমাণ করতঃ বিচারে সম্পত্তিতে পুনরায় স্বীয় অধিকার প্রাপ্ত হন। ইহার পর তিনি অত্যন্ত