পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চল্লিত্ৰেৰ বিশেষত্ব । মহারাজার চরিত্রের বিশেষত্ব কি তাহা বাংলাদেশে কাহারও অবিদিত নাই। একটা কথা মনে পড়িয়া গেল। ‘ঐহিক অমরতা প্রবন্ধে স্বগীয় রায় বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষ জগতে মানবের ঐহিক অমরতা প্রতিপন্ন করিয়াছেন তাহার কীৰ্ত্তি দিয়া । যখনই কোন বিশেষ ব্যক্তির কথা আমাদের মনে পড়ে তখনই তাহার সকল গুণের কথা, সকল অবস্থা ও বৈচিত্র্যের কথা আমাদের মনে পড়িয়া যায়। আমরা তখন ভাবি—“আমি ভুলি না’ । তিনি বলিয়াছেন—“বাল্মিকী একস্থানে বসিয়া এক সময়ে আপনার বীণা বাজাইয়াছিলেন কিন্তু এইক্ষণ যে স্থানে সারস্বতবর্গ সেইখানেই তাহার বীণার ঝঙ্কার, যেখানে আনন্দ উৎসব সেইখানেই তাহার বীণার ধ্বনি, যেখানে হৃদয় হৃদয়ের সহিত আলাপ করে, মন মনের সহিত মিলিয়া যায়, আত্মা আত্মার সহিত আপনার বিনিময় করিতে চাহে সেইখানেই তাহার বিশ্বমোহিনী বীণার বিনোদনিস্বর। এইরূপ কত অগণিত আত্মা লোকস্মৃতির অমরাবতীকে উজ্জল করিয়া বসিয়া আছে তাহ চাহিয়া দেখ। যদি অবনীর এই সকল সন্তানও মরিয়া গিয়া থাকেন তবে জীবিত আছে কাহারা ?”, বস্তুতঃই গভীর ভাবে চিন্তা করিলে আমরা সকলেই এই গভীর এবং তীব্র সত্যের দুয়ারে উপনীত হইতে পারি। ༼ཎམ་ཤ༢:་།