পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DOP योदकान्छब्रिएङ । যেমন উলঙ্গ নরদেহ ব্যবচ্ছেদ করিয়া শিক্ষা দিতে হয়, তঁহাকেও তেমনই, বারবনিতাসেবী নবকুমারের ও লম্পট-সাধু ভক্তপ্ৰসাদের চরিত্র চিত্ৰিত করিতে যাইয়া, অশ্লীলতা-দোষে দূষিত হইতে হইয়াছিল। } দোষগুণ সমস্ত লইয়া মধুসূদনের প্রহসনদ্বয় এখনও বঙ্গ-সাহিত্যে অতি উচ্চস্থান অধিকার করিয়া আছে। সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে তাহাদিগের ক্রমশঃ অপ্ৰচলন হইলেও, গ্ৰন্থ-বৰ্ণিত বিষয়ের যথাযথ বর্ণনা ও চরিত্র-চিত্ৰণ-পটুতা সম্বন্ধে, অতি অল্প সংখ্যক বঙ্গীয় প্ৰহসনই অদ্যাপি ইহাদিগের সমকক্ষ হইতে পারিয়াছে । মধুসুদন কেবল তিন বৎসর মাত্র বাঙ্গালা-সাহিত্যের সেবা আরম্ভ করিয়াছিলেন । র্তাহার প্রথম গ্ৰন্থ শৰ্ম্মিষ্ঠা ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে প্রচারিত হইয়াছিল । ১৮৬০ খৃষ্টাব্দ শেষ হইবার পূর্বেই তাহার একেই কি বলে• সভ্যতা, বুড় শালিকের ঘাড়ে রোয়া, পদ্মাবতী-নাটক, এবং তিলোত্তম-সম্ভব-কাব্য, উপযুপরি আর এই চারিখানি গ্ৰন্থ প্রকাশিত হয়। সুতরাং বাঙ্গালা-সাহিত্যের এ বিভাগে তিনি সর্বোচ্চ স্থান প্রাপ্ত হইলেন। প্ৰাচীন রীতিব পক্ষপাতী ব্যক্তিগণ র্তাহার প্রতি তখনও উপযুক্ত সম্মান প্ৰদৰ্শন না করিলেও প্রাচীন, নব্য সকলেই, একবাক্যে, র্তাহাকে একজন অসাধারণ প্ৰতিভাবান ব্যক্তি বলিয়া স্বীকার করিতে বাধ্য হইলেন । সাহিত্য-শিল্পশালায় তাহার শিক্ষাকালের এইরূপে অবসান হইল, এবং তিনি, স্বাধীনভাবে, নিজের উদ্ভাবনীশক্তি প্ৰদৰ্শন করিতে প্ৰস্তুত হইলেন । শিক্ষাবস্থায় তাহার প্রকৃতি কিরূপ ছিল, তাহা বুঝাইবার জন্য আমরা তঁহার বাল্যের লিখিত অনেকগুলি পত্ৰ সন্নিবিষ্ট করিয়াছি। তাহার সাহিত্যিক জীবন বুঝাইবার জন্যও তাহার এই সময়কার লিখিত কয়েকখানি পত্ৰ সন্নিবিষ্ট করিতেছি। কবিকে বুঝিতে পারিলে কবির কাব্য সহজে বুঝিবার সম্ভাবনা। আশা করি, মধুসূদনের লিখিত পত্ৰ হইতে পাঠক মধুসুদনকে বুঝিতে পরিবেন। মধুসূদনের