পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরতলী সেই দিন সুধীরের কাণে কাণে মতি বলিয়াছিল “যশোদা একলাটি থাকে, ওর দুঃখু আর সয় না। মাইরি, তাই ধনাকে নিয়ে এলাম। দু’টিতে মানাবে ভাল, আঁ৷ ” রসিকতা করিয়া মতি নিজে প্ৰাণপণে হাসে, সেদিনও হাসিয়াছিল । কিন্তু এমন একটা লাগসই রসিকতাও সুধীরের ভাল লাগে নাই দেখিয়া হাসিটা তার থামিয়া গিয়াছিল। হঠাৎ ৷ যশোদা দু’টি কাজের খোঁজ দিয়াছে, কিন্তু একটিও ধনঞ্জয়ের পছন্দ হয় নাই । লোকটার উপর যশোদা সেই জন্য বিশেষ খুসী ছিল না । গরীবের এত বাছবিচার থাকিলে চলিবে কেন, পেটের ভাত যখন তাকে যোগাড় করিতেই হইবে ? ধনঞ্জয় আসিলে যশোদা বলিল, “একটা উপকার করবে। আমার ? রোধে বেড়ে রেখে দিইছি, সুধীরকে ডেকে দু’জনায় মিলে সবাইকে পরিবেশনটা করবে ? এটো বাসন তুলব’খন আমি এসে। তিনটে থালা কম পড়বে—তিনজনকে পাতায় দিও, কেমন ?” ধনঞ্জয় রাগে আগুন হইয়া বলিল, “সবাইকে ভাত বেড়ে দিতে বলছি আমায় ? আস্পদ্ধা তো কম নয় তোমার ! মাইনে করা বামুন নাকি তোমার আমি ?” শুনিয়া যশোদাও রাগিয়া গেল -6ও বাবা, একটা কাজ করতে বললে এ যে দেখি ফোস করে ওঠে। এ কোন দেশী নবাব বাদশা রে বাবা ! যাও বাবু তুমি, যাও, বসে বসে বিড়ি টানোগে ।।’’ ধনঞ্জয় গট গট করিয়া চলিয়া গেল। মন্দ বলিল, “ও বাড়ী থেকে চাপার মা নয় কুমুদ মাসিকে ডেকে আনব দিদি ? যশোদা বলিল কেন ? ও বাড়ীর মানুষকে আবার টানাটানি কি জন্যে ? এতগুলো মন্দ পুরুষ রয়েছে। এ বাড়ীতে, একটা বেলা কেউ ভাত বেড়ে দিতে পারবে না। ক'টা মানুষকে ? গলায় দড়ি আমন অকস্মার ধাড়িদের । দূর করে তাড়িয়ে দেব সবকটাকে বাড়ী থেকে । মতি আর সুধীরকে ডাক দিকি ৷” মতি আর সুধীরকে বলা মাত্র তারা রাজী হইয়া গেল। সুধীর একটু বেঁটে, ঘাড়ে গর্দানে জড়ানো শক্ত মজবুত শরীর, গুণ্ডার মত দেখিতে। পরিবেশনের ভাৱ পাইয়া অতি মাত্রায় খুলী হইয়া সে বলিল, “একটু সেজেগুজে বৌ-ভাতে যেও दिक्खु ऐंद्म का ? যশোদা বলিল, “তামাসা রাখো তো বাবু তুমি। কচি খুকী নাকি যে সাজিব vo