भांचिये यहांदजी ছেলেমেয়ে থাকিলেই যে বোঁ থাকিবে তার কি মানে আছে ? বোঁ মরিতে জানে না ? কেবল একটি নাকি, দু’টি বৌ মরিয়াছে ধনঞ্জয়ের। চারটি ছেলেমেয়েই তার প্রথম বৌ এর, পাঁচ নম্বর সন্তানকে জন্ম দিতে গিয়া সে বৌ মরিয়া যায় পাঁচ বছর আগে । তারপর ধনঞ্জয় যাকে বিবাহ করিয়াছিল, প্ৰথম সন্তানকে জন্ম দিতে গিয়া সেও মরিয়া গিয়াছে আজ প্ৰায় দু’বছর। সেই হইতে ধনঞ্জয়ের বৈরাগ্য আসিয়াছে, আর সে বিবাহ করিবে না । “আমার বৌ বঁাচবে না চাদের মা, ছেলে-মেয়ে হতে গেলেই মরে যাবে। মোদের গায়ের রাধাচরণ কবরেজ নিজে বলেছে।” “এক চড়ে মাথাটি ঘুরিয়ে দিতে পারনি তোমাদের গায়ের রাধাচরণ কবরেজের ? কথা শোন একবার |’ দেহ বড় হইলে বুদ্ধি নাকি কম হয়। এই হিসাবে ধনঞ্জয়ের এক ফোটা বুদ্ধি থাকাও উচিত নয়। সে যেন তারই প্রমাণ দিবার জন্য বলে, “না না, কথাটা সত্যি। তবে যদি তোমার মত বড় সড় কাউকে-” পাক ঘৱে ধনঞ্জয়ের থাকিবার ব্যবস্থা করিয়া রাত্রে রান্নাঘরে তাকে ডাকিয়া যশোদা তার দেশের গল্প শুনিতেছিল। উনানে মস্ত কড়াই চাপাইয়া সে তখন তেল গরম করিতেছে, ডাল সন্তার দিবে। কি বলিতেছে খেয়াল করিয়াই ধনঞ্জয় সািভয়ে থামিয়া গিয়াছিল, কে জানে৷ এবার যশোদা রাগের মাথায় কড়াইএর গরম তেলটাই তার গায়ে ঢালিয়া দিবে কি না ! কিন্তু যশোদা রাগিল না, প্ৰচণ্ড শব্দে হাসিয়া উঠিয়া বলিল, “তাই করে তবে এবার, আমাকেই বিয়ে করে ফেলো।” বলিয়া হাসি আর যশোদার থামে না । জগতে যত মানুষ প্ৰাপ্য হাসি প্ৰত্যাখ্যান করিয়া হাসে না, তাদের সকলের ভাগের হাসি যশোদা যেন একাই বে-দখল করিয়াছে। হাসির শব্দে সুধীর আসিয়া ৱাল্লাঘরের দরজায় দাড়াইল, হাসির ধমক কিছুতেই সামলাইতে না পারিয়া কোনমতে কড়াইট নামাইয়া রাখিয়া যশোদা পালাইয়া গেল উঠানে । উঠানে বড় তাড়াতাড়ি যশোদার হাসি থামিয়া গেল। এতটুকু উঠানে দাড়াইয়া প্ৰাণ ভরিয়া হাস যশোদার পক্ষে অসম্ভব। এখানে দাড়াইলেই যেন চারিদিকের ঘরগুলি সরিয়া সরিয়া আসিয়া তার হাসি-কাল্প চাপা দিবাৱ চেষ্টা কয়ে। ঘরে তো এরকম হয় না ? এখানে তবু মাথার উপরে আকাশ & O
