পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांकि यहांदनी দিলেও সুধীরের এরকম অপমান বোধ হইত না, আপনি জনের মত ভাল পরামর্শ দিতে আসিয়া এরকম আঘাত খাইলে মানুষের সন্থ হয় ? মনে মনে গর্জাইতে গৰ্জাইতে সুধীর ভাবে কি, এ মাসের বেতনটা একবার হাতে পাইলে হয়, যশোদার একটি পয়সা বাকী রাখিবে না । কিন্তু এক মাসের বেতনে তো কুলাইবে না। যশোদার কাছে সে যে অনেক টাকা ধারে! যশোদার পাওনাটা অবিলম্বে সংগ্ৰহ করিয়া তার গায়ের উপর ছুড়িয়া ফেলিয়া দিবার সুখটা অনুভব করিবার আগ্ৰহে কত মতলবই যে সে মনে মনে ঠাওরাইতে থাকে। মানুষের পাওনা ফাকি দিবার মতলব ঠাওরানই যার চিরদিনের অভ্যাস একেবারে উল্টো ধরণের ভাবনা ভাবিবার সময় তার চিন্তাক্লিষ্ট মুখে এমন একটা আশ্চৰ্য্য দুঃখের ছাপ পড়ে যে, দেখিলে অবাক হইয়া যাইতে হয়, মনে হয় এইমাত্র লোকটার কোন আপনজন মরিয়া গেল নাকি ? মানুষকে কাজ জুটাইয়া দিতে যশোদা বড় ওস্তাদ । অনেক বছর ধরিয়া ধীরে ধীরে আপনা হইতে অনেকগুলি ছোট বড় কলকারখানার সঙ্গে তার একটা যোগাযোগ গড়িয়া উঠিয়াছে, অনেক কারখানার ম্যানেজার হইতে সর্দার কুলী পৰ্যন্ত তাকে চেনে-চোখে না দেখিলেও নাম শুনিয়াছে। অনেক শ্রমিকের সঙ্গে যশোদার মুখোমুখি পরিচয় আছে, অনেকে তাকে কেবল দু’একবার চোখে দেখিয়াছে, অনেকে সহকৰ্ম্মীদের মুখে তার নাম শুনিয়াছে। কার কাজ নাই, কার কাজ চাই, কে কাজের লোক, কে অকেজো, কোথায় কোন কারখানায় কি ধরণের লোক নেওয়া হইতেছে বা হইবে, এসব খবর ঘরে বসিয়াই এত বেশী পাওয়া যায় যে খাতাপত্রের সাহায্য ছাড়া মনে রাখা অসম্ভব। কিন্তু ওসব হিসাব রাখার বালাই যশোদার নাই, সেটা তার পেশাও নয়। কোনো আদর্শ, উদ্দেশ্য বা স্বাৰ্থসিদ্ধির জন্য সে চেষ্টা করিয়া সংগ্ৰহ করে নাই, শ্রমিক-জগতে আপনা হইতে তার একটা স্থান জুটিয়া গিয়াছে, প্রথমে খুবই সঙ্কীর্ণ ছিল এখন পরিসর বাড়িয়াছে। কিন্তু নিজের স্থানটির সীমা যশোদা কখনও অতিক্রম করে না, চেষ্টা করিয়া পরিসর বাড়াইবার চেষ্টাও করে না। যাদের সঙ্গে তার সংযোগ আছে, সোজাসুজি পরিচিত না হোক অন্ততঃ পরিচিত কারও মধ্যস্থতায় যাদের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ একটা স্থাপিত হইয়াছে অথবা হয়, কেবল তাদেৱ ארא