সহয়তলী গন্ধের হদিস মেলো-অন্ততঃ তাই মনে হয় যশোদার। “আমায় একবার বলতেও পারলি না। নন্দ ? তুই কি কচি খোকা যে, তোকে আমি আটকে রাখতাম ?” “চাকরী ছাড়া আমার চলবে না দিদি ।” একটা রহস্যময় ব্যবধানের সৃষ্টি হইয়াছে দু’জনের মধ্যে। যশোদা স্পষ্ট অনুভব করতে পারে, জিজ্ঞাসা করিয়া কিছু জানা যাইবে না, এতকাল পরে নন্দর জীবনে এমন একটা গোপন কিছুর আমদানী হইয়াছে নন্দর যা নিজস্ব ব্যক্তিগত সম্পদ, দিদিকে সে ভাগ দিতে পরিবে না । তাকে ডিঙ্গাইয়া সত্যপ্ৰিয়ের কাছে চাকরী ভিক্ষা করিতে যাওয়া শুধু চাকরীর লোভে নয়-এতক্ষণে নন্দ তাহা হইলে কঁাদ কঁাদ হইয়া কথা বলিত, এমন তেজের সঙ্গে ঘোষণা করিতে পারিত না যে চাকরী ছাড়া তার চলিবে না, তাই সে চাকৰী সংগ্ৰহ করিয়াছে, যশোদাকে জিজ্ঞাসা করাও দরকার মনে করে নাই । তবু যশোদা জেরা করে। তবু সে জানিতে চায়, চাকরীর এত দরকার তার কেন হইল। নন্দ যে কৈফিয়ৎ দেয় তাতে যশোদা একেবারে স্তস্তিত হইয়া যায়। তার ভাই নন্দ, তার নিজের হাতে মানুষ করা রুগ্ন আর ভাবপ্রবণ অপদাৰ্থ নন্দ, সে কিনা আজ তাকে শোনায় যে, বসিয়া বসিয়া দিন কাটাইলে তো চলিবে না, জীবনে একটু উন্নতির চেষ্টা তো করিতে হইবে তাকে ? বুড়া মানুষের মত এইসব কথা বলিয়া আসল কথাটা গোপন করিয়া রাখে। তার কাছে ! বিষাদের স্বাদ যশোদা প্ৰায় জানেই না, বিষাদ যদি কখনও ঘনাইয়া আসে। তার বাহন হয় চাদের জন্য শোক । তাও খুব বেশী প্রশ্ৰয় পায় না। যশোদার কাছে, পুত্ৰশোকে কাতর হওয়ার অবসরই বা তার কই ? আজি চাদের কথা মনেও পড়ে না, তবু গাঢ় বিষাদে তারা যেন ঝিম ধরিয়া যায়, ঘুমের বদলে দু’চোখ ভরিয়া আসে, চোখের পাতা খানিকক্ষণ খুলিয়া রাখা, আর খানিকক্ষণ বন্ধ করার উত্তেজিত অবসাদ । আর হ্যা, আজ নিজেকে তাৱ অসহায় মনে হয়, মনে হয় জীবনটা তার ব্যর্থ হইয়া গিয়াছে’-এত কাল কেন বাচিয়াছিল। ofiol, vsry(s (opa žifŠto ? সকালে নিজেকে একটু অসুস্থ মনে হয়। তবে রান্ত্রির অনুভূতিগুলি রাত্রেই Ve
