जङ्द्वाङब्नौ মিনতি করে, মাঝে মাঝে ধনঞ্জয়কে পৰ্য্যন্ত মধ্যস্থ মানে । ধনঞ্জয় দ্বিধাভরে বলে, “আমি তো বলছি প্রথম থেকে কিন্তু-” যশোদা বলে, “কি মুস্কিল, তোমরা বেচ না তোমাদের ঘর-বাড়ী।” “আমার সঙ্গে তোমাদের সম্পর্ক কি ? আমায় নিয়ে টানাটানি করছি কেন ?? যশোদার বাড়ী বেচার সঙ্গে তাদের স্বার্থের সম্পর্ক কোথায়, কেবল কুমুদিনী নয় পাড়ার সকলেই অনেকবার কথাটা তাকে বুঝাইবার চেষ্টা করিয়াছে। কিন্তু যশোদা স্বীকার করে না । সে বলে, সব সত্যপ্রিয়ের চাল । সকলে চুপ করিয়া বসিয়া থাক, অন্য ক্রেতা আসুক, যশোদার বাড়ীশুদ্ধ কিনিতে পাইলে যে দীর সত্যপ্রিয় দিবে বলিয়াছে তার চেয়ে বেশী দর দিয়া তখন কিনিয়া নিবে, যার খুন্সী বেচিবে যার খুসী বেচিবে না, সত্যপ্রিয় কথাটি বলিবে না। “জমির দর চড়ছে দেখছি না দিন দিন ? বেচিবার জন্য ব্যস্ত হচ্ছি কেন ?” রাজেনও যশোদার কথায় সায় দেয়-চিরদিন দিয়া আসিতেছে । তবে কুমুদিনীকে জানাইয়া নয়। কুমুদিনীর কাছে সে যশোদার কথার জোরালো প্ৰতিবাদই করে । তারপর একদিন দেখা যায়, যশোদার কথাই ঠিক। পেনসনভোগী এক ভদ্রলোক রাজেনের বাড়ীর পাশে উমেশ তরফদারের বাড়ীটা এবং ওই ভদ্রলোকেরই এক বন্ধু কানাই নন্দীর এগার কাঠ। ফাকা জমিটুকু কিনিতে রাজী হইয়া গেল-যশোদা বাড়ী বেচিলে সত্যপ্ৰিয়ের কোম্পানী যে দর দিবে। বলিয়াছিল। সেই দরে। কিন্তু পেন্সনভোগী ভদ্রলোক ও তার বন্ধুর আর এখানে বাড়ী বা জমি কেনা হইল না । কোম্পানীর লোক আসিয়া সকলকে জানাইয়া দিল, যশোদা যে শক্ৰতা করিয়া নিজের বাড়ীটা আটকাইয়া রাখিতেছে এটা স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে। একজনের সয়তানিতে সকলে মারা পড়িবে কোম্পানী তা সন্থা করিবে না । যে বেচিতে চায় তার বাড়ী আর জমিই কোম্পানী কিনিয়া নিবে। যে বেচিবে না। তার সঙ্গে বুঝাপড়া হইবে পরে। শুনিয়া যশোদা বলিল, “বুঝাপড়া ? আবার কি বুঝাপড়া করবে ওরা ? বুঝাপড়ার দেখছি শেষ নাই ওদের !” বিনাসৰ্ত্তে সকলের বাড়ী ও জমি সত্যপ্ৰিয়ই কিনিয়া নিল । বেচিল না। কেবল কুমুদিনী। (eፃ ፃ
