凶可帝 ‘শোষিতশ্রেণী সমূহের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সংগ্রামের গতি-প্ৰকৃতি কি তা উপলব্ধি করে প্রগতিশীল লেখকের পক্ষে জীবনের কোন খণ্ডিত অংশগুলি বেছে LDD DBD BDS SBB D BDBBD SDBDB LD DBDBDD BBLBD DBD DBBD নিতুলভাবে এটা বিচার না করে। প্ৰগতি সাহিত্যের সামগ্রিক গতি-প্ৰকৃতি ও শিল্পমূল্য সঠিক নির্ণয় করা সম্ভব নয়। বাস্তবতাকে অতিক্রম করে মিথ্যা কল্পনার রাজ্যে চলে যাবার সুযোগ ভাববাদী লেখকের অাছে, ভাববাদী আদর্শগত জীবন দর্শনকে রূপ দেবার জন্য তিনি যত খুশি কল্পনার রং চাপাতে পারেন । কিন্তু বস্তুবাদী প্ৰগতিশীল লেখক বাস্তবতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন না । বস্তুবাদী লেখক অবশ্যই বাস্তবতার রিপোর্টার নন, তিনি শিল্পী-তিনিও কল্পনার রঙে-রাসেই তার কাহিনী রূপায়িত করবেন, কিন্তু মিথ্যার সঙ্গে তার কল্পনার কারবার থাকবে না । এই জন্যই তার বাস্তবজীবনের গতি-প্রকৃতি ভালো করে জানা দরকার—তার কল্পনা যাতে বাস্তবতাকে অতিক্রম করে ফাক আদর্শবাদিতার মিথ্যায় পরিণত না হয়, জীবন-বিরোধী হয়ে না। ওঠে। আচু্যতবাবু কি জানেন বাংলা প্ৰগতি-সাহিত্য প্রচারধর্মী হয়েছিল। জীবন-বিরোধী মিথ্যা অাদর্শবাদিত থেকে আত্মরক্ষার জন্য ? এটা ত্রুটি, বাস্তবজীবনের গতিপ্রকৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের অভাবেরই সুস্পষ্ট নিদর্শন। কিন্তু মিথ্যাকে তুলে ধরার চেয়ে সাহিত্যে প্রচারধর্মী হওয়া ঢের ভালো-সমাজ ও সাহিত্যের রূপান্তর গ্রহণের বিশেষ স্তরে প্রচারধর্মী হওয়াটাই তাই সাহিত্যের প্রগতি লক্ষণ এবং আশার কথা হয়ে দাড়ায় । এই প্রচারাধর্মিতা থেকে মুক্তিলাভের চেষ্টা ও ব্যাকুলত তা’ সুন্ম আঙ্গিকসর্বস্বতার রূপই নিক বা অন্য যে কোন রূপই নিক, সেটাও তখন হয় সাহিত্যে প্রগতি বজায় থাকার লক্ষণ এবং আশার কথা । বাংলার সমাজ জীবনের বাস্তব অবস্থার সঙ্গে, শ্রেণী সংগ্রাম ও শ্রেণী সম্পর্কের বর্তমান রূপ এবং ঐতিহাসিক গতি-প্ৰকৃতির বিচার বিশ্লেষণের পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যের বিচার-বিশ্লেষণ করলে আচু্যতবাবু দেখতে পেতেন সমগ্র বাংলা সাহিত্যের মধ্যে প্ৰগতি সাহিত্যের বর্তমান রূপটাই অনিবাৰ্য ছিল এবং এই প্ৰগতিসাহিত্য সম্পর্কে হতাশার কিছুমাত্র কারণ নেই। বাংলার প্রগতি সাহিত্যের মধ্যে প্রচুর সম্ভাবনার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে, পথটা দুৰ্গম ও এলোমেলো হলেও এ সাহিত্য VSOY)
