পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাটির সাকী দেহে নাই কান্তি মনে নাই শান্তি। গরীরের এ দুটি অভাব চিরদিনের। কিন্তু চিরদিনের অভাবও স্বভাবে পরিণত হয় না, একদিন সহিয়া যায় এই মাত্র এবং তাহাতেও আপসোস বড় কম নহে। নিজের একটা অপ্ৰিয় অকথ্য রূপান্তরের আপসোস । ওমনি বাস ট্রেন, ছাঁটা সতর মিনিটে ছাড়িয়া বজবজ যাইবে । ট্রেনটি এমনি ংক্ষিপ্ত যে মেয়েগাড়ীর বাহুল্য নাই। গাড়ী ছাড়িবার কয়েক মিনিট পূর্বে উঠিয়া সুশ্ৰী মেয়েটি ঠিক সামনে শক্ত হইয়া বসিয়া আছে। মুখের দিকে চাহিবার ইচ্ছাও যেন হয় না । ভয় করে । মনে হয়, ক্ষণকাল চাহিয়া থাকিলে পাতলা ঠোঁটদুটি শুষ্ক ও শীর্ণ হইয়া উঠিরে, মসৃণ গাল ভাঙিয়া ব্ৰণের দাগে ভরিয়া যাইবে, ভাসা ভাসা চােখদুটি বুভূক্ষায় মুমূর্ষু পশুর চােখের মত পীড়িত ও সকাতর হইয়া উঠিবে, কপালে দেখা দিবে তেলমাখা চটচটে ঘাম! ৰূপ দেখিলে দু'চোেখ কুরূপের স্বপ্নে DBBBD DDD DL SS DDD DBBBDBDB DBB DBB DDDS মাত্র দশ মিনিটের পথ, গাড়ী ষ্টেশনে দাড়াইল। লাইনের একদিকে শহরতলী বালীগঞ্জ, অপরদিকে গ্ৰাম কসবা । আভিজাত্যের ছাপমারা পিচ-বাধানো পথটি রেলের গেট পার হইয়াই গোবর আর কাদায় ভরিয়া উঠিয়াছে। দু’পাশের দোকানগুলির গ্রাম্য মূৰ্ত্তির গায়ে শহরে ভাবের তালি লাগানাে-খালি পায়ে বুটপরা মানুষের মত। কিন্তু এগুলির দিকে চাহিয়া নিত্যই শঙ্করের মনে হয় যে এ রকম একটা দোকান দিতে পাৰিলেও বুঝি মন্দ হইত না। ঘোষালপাড়া ছাড়াইলেই শঙ্করের বাড়ী। বাড়ীটি পাকাও বটে, দোতলাও বটে ; কিন্তু যেমন পুরাতন তেমনি ক্ষুদ্র। পথ হইতে দোতলার খোলা ছাদে উঠিবাৱ খোলা সিড়ি খানিকটা চোখে পড়ে, মনে হয় চুণবালির বাধনহীন কতকগুলি