পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহিংসা “কচি খোকার মত কি যে কর তুমি ’ । ভাল করিয়া কথা বলিলে, এমন কি রীতিমত ঝগড়া করিলেও, হয়তো বিভূতির মা তখনকার মত শুধু রাগে গরু গৰ্ব্ব করিতে করিতে চলিয়া যাইত, এক ঘণ্টা পরে আবার ফিরিয়া আসিত দুধের বাটি LLLSS SDD LLBBS BK KDS BBDLS DD চাহিলে কি মানুষের সন্থ হয় ? বিভূতির মা তো আর জানিত না, নিজের মনে সঙ্গে মহেশ বুঝাপড়া করিতেছে, কত যে বিচার বিশ্লেষণ চলিতেছে, তার সীমা নাই। খোলা দরজা দিয়া দুধের বাটিটা ছুড়িয়া ফেলিয়া দিয়া বিভূতির মা আগাগোড়া একটা বিছানার চাদর মুড়ি দিয়া দেয়ালের দিকে মুখ করিয়া শুইয়া রহিল। তখন মনটা মহেশ চৌধুরীর रफु श्थांद्रां• इंद्देश গেল। কি দোষ করিয়াছে বিভূতির মা ? অন্যের পাপে সে কেন কষ্ট পায় ? সেদিনের কথা মহেশের মনে পড়িতে থাকে, সদানন্দের কুটীরের সামনে তার সঙ্গে বিভূতির মা যখন গাছতলায় বৃষ্টিতে ভিজিতেছিল। বিছানার একপ্ৰান্তে পা গুটিাইয়া বসিয়া মহেশ ভাবিতে থাকে। বিভূতির মাকে তুলিয়া খাওয়ানো যায়, সেটা তেমন কঠিন কাজ নয়। কিন্তু কি লাভ হইবে ? বিভূতির সম্বন্ধে যা সে ভাবিতেছে, তাই যদি স্থির করিয়া ফেলে, তখন বিভূতির মাকে যে কষ্টটা ভোগ করিতে হইবে, তার তুলনায় এখনকার এ কষ্ট কিছুই নয়। বিভূতিকে বাড়ী হইতে চলিয়া যাইতে বলিবে কি না, এই কথাটাই মহেশ ভাবিতেছিল। বিড়াল মারার জন্য নয়, বিভূতির প্রকৃতি যে কখনও বদলাইবে না, এটা সে ভাল করিয়া টের পাইয়া গিয়াছে বলিয়া। এখন বিভূতিকে বাড়ীতে থাকিতে দেওয়ার অর্থ-ই কি তাকে সমর্থন করা নয় ? শুধু ছেলে বলিয়া তাকে আর কি ক্ষমা করা চলে, চোখ কাণ বুজিয়া আর কি আশা করা চলে এখনও তার সংশোধন সম্ভব ? বিনা প্ৰতিবাদে এখন চুপ করিয়া থাকা আর বিভূতিকে স্পষ্ট বলিয়া দেওয়া যে, সে যা খুলী করিতে পারে, এর মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। তার ছেলে বলিয়া বিভূতির অন্যায় করার যে বিশেষ সুযোগ সুবিধা আছে, মানুষের উপর যে প্রভাব প্ৰতিপত্তি আছে, বিভূতিকে জানিয়া শুনিয়া সে সমস্ত ব্যবহার করিতে দেওয়া আর তার নিজের অন্যায় করার মধ্যেই বা পার্থক্য কি ? মনে মনে মহেশ চৌধুরী স্পষ্টই বুঝিতে পারে, এ বিষয়ে আর ভাবিবার কিছু NdQ নাই, বিভূতিকে বাড়ী ছাড়িয়া চলিয়া যাইতে বলা উচিত কি অনুচিত, এটা আর প্রশ্নই নয়, এখন আসল সমস্যা দাড়াইয়াছে এই যে, বিভূতি তার ছেলে। বিভূতি তার ছেলে। বিভূতি যে তার স্ত্রীরও ছেলে, এটা এতক্ষণ মহেশের যেন খেয়াল ছিল না। বিভূতির মা’র চাদর মুড়ি দেওয়া মূৰ্ত্তি এই আসল সমস্যাটাকে তাই একটু বেশী রকম জটিল করিয়া দিয়াছে। বিভূতির মা'র ছেলেকে বাড়ী হইতে তাড়াইয়া দেওয়ার অধিকার কি তার আছে ? ভাল ছেলে, সৎ ছেলে, আদর্শবাদী ছেলেগ্রামে আর এমন ছেলে নাই! কেবল বুদ্ধিটা একটু বিকৃত-ভাল মন্দের ধারণাটা ভুল। অনেকগুলি মানুষকে ক্ষেপাইয়া তুলিবাের আনন্দ, দু'দিন পরে যখন প্ৰচণ্ড একটা সংঘর্ষ ঘটিয়া যাইবে, কতকগুলি মানুষ যাইবে জেলে আর কতকগুলি যাইবে হাসপাতালে আর কতকগুলির দেহ উঠিবে চিতায়, আনন্দের তখন আর তার সীমা থাকিৰে না । জেল, হাসপাতাল বা চিতা, এর কোনটার জন্য নিজেরও অবশ্য তার ভয় নাই। ছেলের এই নিভীকতাও মহেশের আরেকটা বিপদ। নিজের কথা যে ভাবে না, স্বাধীনভাবে চলা-ফেরার বয়স যার হইয়াছে, ছেলে বলিয়া আর মতের সঙ্গে মত মেলে না বলিয়া তার উপর বাপের অধিকার খাটানোর কথা ভাবিতে মনটা মহেশের খুতখুতে KPC3 মহেশ চৌধুরী নিৰ্বাক হইয়া থাকে প্ৰায় ठिन नि । ?ंख्ठौद्र नञ्, दिष8 ब ऐां बन्, শুধু নিৰ্বাক। বিভূতির মাও নির্বাক হইয়া থাকে, কিন্তু তাকে বড় বেশী গম্ভীর, বিষগ্ন আর উদাস মনে হয়। বিভূতি বলে, “কি হয়েছে মা ?” বিভূতির মা বলে, “কিছু হয় নি।” বিভূতি পিছন হইতে মাকে জড়াইয়া ধরিয়া কানের কাছে মুখ নিয়া চুপি চুপি বলে, “শোন, चांभांद्र छप्छ cड्यांना । उम्र cबद्दे, यांत्रेि यांद्र জেলে যাব না। সে সব ছেলেমানৰী বোকামীর দিন কেটে গেছে।’ তবু বিভূতির মার প্রথমটা মন-মরা ভাব কাটিতে চায় না ! বরং বাড়িবার উপক্রম হয় । কারণ, একদিন মহেশ চৌধুরী সোজাসুজি বিভূতির ‘সম্বন্ধে তার সিদ্ধান্তের কথাটা তাকে শুনাইয়া C