bang labOOKS. in ○小ご)8 মানিক রচনাসমগ্ৰ অথচ, হেব্বস্ব আগাগোড়াই জানে আনন্দের পক্ষে প্রেম অসম্ভব, অপ্রকৃত। এমন অনৈসৰ্গিক সম্ভাবনাকে স্বীকাব করিয়া নিতে বাধিল না বলিযা সে কিন্তু কিছুমাত্র বিস্মিত হইল না। সে যদি পাথরকে এমনভাবে ভালবাসিত, পাথরও যেন প্রতিদান দিত। আনন্দ পাথর নয়। পাথরেব চেযে নীরস হওয়াই অবশ্য আনন্দের পক্ষে স্বাভাবিক, কিন্তু হেরম্বের প্রোমেব দাপটে স্বভাবকে অতিক্ৰম না কবি যা বেচারা পাবে নাই। বৃষ্টিবাদল শেষ হইয়া গিযাছে, দুইবেলা সমুদ্রতীব নবনারীতে ভরিষা যায়। ছোট ছেলেমেয়ে।বা ঝিনুক কুড়ায, আব্ব ঝিনুক কুড়ান্য বীে আর যুবতী মেয়োবা । তাহারা সকলেই ঝিনুক কুড়ায়। সমুদ্র এখন প্রশান্ত। ঢেউয়েব তালে নাচিতে নাচিতে জেলে ডিঙ্গিগুলি তীবোব আব্ব দূরেক মধ্যে আনাগোনা করে, তীব্যেব কাছে ভীৰু বাঙ্গালী মেয়ে স্নানের ছলে বালি মাখে, যারা একটু সাহসী, নুলিযার হাত ধবিয়া তারা খানিক আগাইযা যায এবং বড় ঢেউ আসিলে সঙ্গীকে সবলে জডাইয়া ধরে। জড়াইয়া ধবিবার শিক্ষাটা ওদের পুরাপুরিই হইয়া আছে। সমুদ্রমাণ করিতে আনন্দ বড় ভালবাসে। নৃত্যের মত সাঁতাবেও তাব যেন স্বাভাবিক প্রতিভা আছে। সোনালী চিকন জলদেবতােব মত স্বচ্ছ সুনীল জলে সে ডুব দেয়, তার পাযেব তলে ।সমূদ্রতলেব বালি ঝিকমিক করে, ছোট মাছের ঝাক তাহাকে অতিক্ৰম কবিয়া যায়। উপরে ভাসিতে ভাসিতে হেব্বস্ব নিশ্বাস বোধ কবিয়া চাহিত্যা থাকে ; ভাসিয়া উঠিযা হাঁপ ছাড়িয়া আনন্দ বলে, “তলা ষ্টুতে পারলাম না, দাম আটকে এল।” হাত পা ছুড়িয়া মনেব আনন্দে সে জল ছিটিযে, লোনা জল মুখে গেলে ওয়াক ও যাক কবিয অত্যন্ত হাসে। ‘ধরুন তো ?’ বলিযা তারতব করিয়া সাঁতার দিয়া সে পালায়, হে বস্ব শত চেষ্টাতেও তাব নাগাল পায় না। তাবপর হাত পা এলাইয়া দিযা আনন্দ হাঁ করিয়া হাঁপায়, সে শ্ৰান্ত হইয়া পডিযাছে। ললে, “কতদূল চলে এসেছি!! ফিরব কি করে গ’ হেলম্ব একটোক লোনা জল গিলিয়া বলে, “আমায় ধবে বিশ্রাম কর।” ‘ইস ধরুন তো?” আনন্দ তীবোৰ দিকে সাঁতাব দিতে আবম্ভ কবে, কিন্তু শ্ৰান্ত শরীরে আব্ব জোরে যাইতে পাবে না। হেলম্ব পাশে পাশে তাহাব সঙ্গে চলে। সে ভাল সাঁতার জানে না, হাত পা যেন ভাঙ্গিয়া পড়িতে চায়। তবু সে বলে, “আমায ধন না। অ্যানন্দ ?” আনন্দ স্নান হাসিয়া বলে, “আপনি যে টুতে বারণ করেছিলেন ?” সে যেন ঐতিহাসিক, তিনদিনের পুবানাে কথা ভোলে নাই। ব্যাপারটা খুবই সাধারণ। হেবিম্ব ঘবে শুইযা ছিল, এমনি সময় চটপট চটপট শব্দে বাহিরে শিল পডিতে আবস্তু হওয়ায আনন্দ আব্ব আনন্দে আপনাকে ধবিদ্যা রাখিতে পাবে নাই। দুটিয়া ঘরে গিয হেবম্বেব বুকে উপপুর হইয়া পডিয়াছিল। তাব বুকের চাপ লাগি যাছিল হেরম্বের বুকে। তে বম্ব বিবৰ্ণ হইয়া গিষাছিল। আকস্মিক তীব্র [ বেদনায় ?} আনন্দকে সে কি বলিয়াছিল তাব স্মবাণ নাই । [। এরপর আড়াই লাইন অংশ এমনই ছিন্নভিন্ন যে পাঠোদ্ধার অসম্ভব। পবের বাক্যটিও তাই মাঝখান থেকে শুরু হয়েছে।] চেযে তাব আব্ব বড় প্রমাণ কিছু হয না। এ স্মৃতি আনন্দোব বৃদয়েব নয, মস্তিস্কেব ; এ প্রতিক্ৰিযা অনুভূতিব নয়, বুদ্ধির। তারপর্ব বিকালে সরসী আসিল। রাত জাগিয়া কঁাদিয়া ভাবিয়া ভাবিয়া সে সাবা হইয়া গিয়াছে। বৃক্ষ চুলে জটা বঁধিয়াছে, চোখের কোলে কালো দাগ পড়িয়াছে, ঠোঁট শুকাইযা ফাটিয়া গিয়াছে। বলিল, ‘একজন অসহায়া মেয়েমানুষের হাতে আমন একটা রোগীকে ফেলে কি করে আপনি ভুল মেবে রইলেন হেবঙ্গ বাবু” লঙ্গায় হেত্বম্ব মাথা ঠোঁট করিয়া রহিল। “পরেও অমান করতে পাবত না ।” হেতু বাস্থ্য যেন তারা পাব নয়। হেরম্ব ভযে ভযে বলিল, ‘অশোক একটু ভাল আছেন না ?” “কষ্ট আর আছেনে ?”