পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विनीक ভাল রঙ খোলেনি। এসবও আমি কিনে দিয়েছি সবিতাকে, সবিতাকে ভালবেসে কিনে দিয়েছি। সামনে বেঞ্চির উপায় সবিতায় বাক্স, ক্যাসবাজ, সুটকেস, হারমোনিয়ম। কুয়াশায় সবিতার এই সম্পত্তিগুলিকে কেমন যেন মন-ময়া দেখাচ্ছে । সবিতার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করা টাকায় এগুলি কেন । চারিদিকে সবিতার প্রতি আমার উদারতার সংখ্যাতীত প্ৰমাণ দেখে, সবিতাকে যে অনন্যসাধারণ ভালবাসা দিয়েছি। এ বিষয়ে একেবারে নিঃসন্দেহ হয়ে, আমি আরও গভীর তৃপ্তি বোধ করলাম। এতক্ষণে বুঝতে পারলাম, কাল রাত্রে ধৈৰ্য হারিয়েছিলাম কেন। সবিতাকে ভালবাসি বলে। সবিতার প্রতি প্ৰেম আমার এত তীব্ৰ যে ঈর্ষাও সেই অনুপাতেই প্ৰচণ্ড হয়। একটা মিথ্যা সন্দেহ পৰ্যন্ত তাই আমাকে একেবারে ক্ষেপিয়ে দেয় । সবিতা ঘরের দরজা ভেজিয়ে দিয়ে গেছে। দরজাটি খোলা, ঘেরা বারান্দার। সেও একটি লম্বাটে ঘরেরই মত। রাত্রে এই বারান্দার দরজা বন্ধ করা হয়, কিন্তু ঘরের দরজাটি খোলাই থাকে। বন্ধ করার দরকার হয় না। সকালে বারান্দায় রাত্রি-ভোজনের এটাে বাসন তুলে ধোয়া-মোছার শব্দে আমার ঘুমের ব্যাঘাত হয় ব’লে সবিতা দরজাটি ভেজিয়ে দিয়ে যায়। সবিতার ড্রেসিং-টেবলের আয়নায় খানিকক্ষণ নিজের মুখখানা নিরীক্ষণ করে ভেজানো দরজা খুলে বারান্দায় গেলাম। প্ৰথমে চোখে পড়ল এটো বাসনগুলি, তারপর সিড়ির বন্ধ দরজাটা-তারপর দোদুল্যমান সবিতাকে । DBB BD DDDD DBD DBB DBD BD LDBB DBDDBBDS এক মুহূৰ্ত্তে বুঝতে পারলাম সবিতা গলায় দড়ি দিয়েছে। পাশের বসবার ঘর থেকে হাল্কা টেবিলটা এনে তার উপরে চেয়ার পেতেও সে বোধ হয় কড়িকাঠের নাগাল পায়নি। তাই টেবিল চেয়ার একপাশে সরিয়ে রেখেছে। ছেলে হলে যে হুক থেকে সবিতার ছেলের দোলনা দুলত, দড়ি ছুড়ে ছুড়ে সবিতা তাতে দড়ি আটকেছে বোধ হয়। কিন্তু এ কাজে যে পরিমাণ অধ্যবসায় দরকার হয়েছিল, আত্মহত্যা করতে চাওয়ার উন্মত্ততা ছাড়া, ছুড়ে ছুড়েই সে যে কড়িকাঠে দড়ি আটকেছিল, তারও কোন প্রমাণ নেই। হয়ত অন্য কোন উপায়ে এই কাজকে সে সম্ভব করেছিল। রাত্রির গাঢ় অন্ধকারে মানুষের ঘুমের আড়ালে যে মরতে যায়, বুদ্ধি হয়ত তার এমন তীক্ষ হয়ে ওঠে, অসম্ভব কাজকে সম্ভব করার এমন উপায়ই হয়ত সে আবিষ্কার করে ফেলে যে ow-fifts go