পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So a ભિsોર প্ৰত্যেকটি সকালে যারা ঘুম ভেঙে জীবিত অবস্থায় বিছানায় উঠে বসার আশা পোষণ করে, তারা সেই বুদ্ধির প্রক্রিয়াকে আবিষ্কার করার কল্পনা পৰ্যন্ত করতে iां न । গলায় ফাসিটা পরাবার আগে কাল সবিতা কি করেছিল। জীবনে কখনো আমি তা জানতে পারব না, ভাবতেও পারব না । এই সমস্যাই যেন আমাকে বিচলিত করে দিল। সবিতা গলায় দড়ি দিয়েছে এটা বুঝতে আমার দেরিও হয়নি, অসুবিধাও হয়নি। কিন্তু কড়িকাঠের অন্ত উচু হকে সে দড়ি আটকাল কি করে এটা বুঝতে না পেরে কাতর হয়ে পড়লাম। অসহায়ের মত চারিদিকে তাকাতে লাগলাম। সবিতা গলায় দড়ি দেবার ঠিক আগের কাজটিকে সে দুর্বোধ্য ও রহস্যময় করে রেখে গেছে বলেই আমার মাথাব মধ্যে বিমঝিম করে উঠল। সবিতা কি করে কড়িকাঠে তার মৃত্যুর আয়োজন করল। এ কথাটা আমাকে কে বুঝিয়ে দেবে ? আত্মহত্যা করে সবিতা আমাকে সবই বুঝিয়ে দিয়ে গেল, এই একটা তুচ্ছ গোপনতার মোহ সে কাটাতে পারল না কেন ? সবিতাকে আমি সবদিক দিয়েই চিনেছিলাম। সে কি খেতে ভালবাসে, কোন গয়না, কি রঙেব শাড়ী তার পছন্দ, কি কথা বললে সে খুশী হয়, কোন স্তরে সে অনায়াসে উদার হয়ে থাকে, এ সবই আমাব জানা ছিল । সংসারে কার প্রতি তার কতটুকু মমতা আমি তার হিসাব রাখতাম। অলস কল্পনার মুহুর্তগুলি ছাড়া ওর স্বামিপ্রেমের গভীরতাও আমি নির্ভুলভাবে পরিমাপ করতে পেরেছি। সবিতা ছিল আমার অতি জানা অতি চেনা বৌ। কাল ওর সম্বন্ধে যে বিষয়ে আমার জ্ঞান ছিল না। কিন্তু সন্দেহ ছিল, আজি সবিতা আত্মহত্যা করে সে বিষয়েও আমাকে পরিপূর্ণ জ্ঞান দিয়েছে। সন্দেহ আমার মিথ্যা নয়, এই সত্য প্ৰকাশ কবে যেতে গলায় সবিতা দডি দিয়েছে বলে আমার দুঃখ নেই। কিন্তু দডিটা হুকে সে আটকাল কি করে ? o fôr VIP o