পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাকালের জটার জন্ট ySq*h সহজ বিশ্বদেবতা নন, সেই আদিম প্রেমিক, পৃথিবী যখন মাটির ঢেলা, মানুষ যখন খেলার পুতুল, তখন যে সহস্রশীর্ষ বিরাট পুরুষকেই একমাত্র ভালবাসিতে পারা यो । স্বলতার মুখের বিবর্ণিতা নিরীক্ষণ করিয়া যাদব বলিলেন, “বিদায় নিতে এসেছিলে সেকথা তোমার বোধ হয়। স্মরণ নেই ছোট-বেী।” নির্বোধের মত মুখ করিয়া সুলতা বলিল, “না সত্যি ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু বেলা আর নেই। শাশুড়ী হয়ত ওদিকে রাগ করবেন।” সুলতা নীরবে উঠিয়া দাড়াইয়া প্ৰস্থানের উদ্যোগ করিল। দরজার কাছে পৌছিলে পিছন হইতে যাদব বলিলেন, ‘সাবধানে থেকে ছোট-বেী, শরীরের যত্ন fGe ? বলিয়া ঘন ঘন দাড়ির মধ্যে আঙুল চালাইতে আরম্ভ করিলেন। বারান্দায় পা দিয়া সুলতা দেখিতে পাইল রুদ্রাক্ষের মালা হাতে মনোর মা চিত্ৰাপিতের ন্যায় এক পাশে দাড়াইয়া আছেন। ঈষৎ স্কুল দেহে গারদের সজ্জা, চওড়া করিয়া সিঁদুর পরিতে পরিতে সিথি রক্তাক্ত টাকের মত প্ৰশস্ত হইয়া উঠিয়াছে। সুলতা তাহাকে প্ৰণাম করিল। আঙুলের ডগায় তাহার চিবুকের স্পর্শ আনিয়া চুম্বন করিয়া মনোর মা বলিলেন, ‘ব্যাটা কোলে ভালয় ভালয় ফিরে এস মা ।” সকলে ভিড় করিয়া বিদায় দেয় । পষ্ণু মড়ার মত হাসে, সুচিত্রা সকলের পিছনে আড়াল খুজিয়া নেয়। সরমার মুখের দিকে চাহিয়া সতীশের চােখে পলক পড়ে না। সুমিত্ৰা উদাসভাবে পথের গ্যাসের আলোটার দিকে চাহিয়া থাকে। হেমন্ত সকলের অগোচরে কি একটা ইশারা করে, লজ্জার ভান করিয়া সুলতা মুখ ফিরাইয়া নেয়। ওঠা-নামার সময় সাবধানতা অবলম্বনের জন্য যাদব সুলতার দাদাকে নানাবিধ উপদেশ দেন। গাড়িতে বসিয়া সুলতা অনুপস্থিত মনোরমা ও তাহার মার কথা ভাবে। ow-ffs go