পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

et-s-osiaềìā sfsäù জবর খবর রটে যায় যে নবীর মা গলায় দড়ি দিয়ে মরেছে। DB D DD BBBD SDBD BB DDD BD BBBBBDDiSTDD শাড়ির আঁচল দিয়ে, গামছা পাকিয়ে নিয়ে, পুরনো কাপড়ের জমানো পাড় দিয়ে কিংবা অন্যভাবে বিষ-টিষ খেয়েও সে আত্মহত্যা করে থাকতে 外r颈1 তাই নিয়ে কেউ বিশেষ মাথা ঘামায় না। অনাথের এখানে গলায় দড়ি না দিয়ে বোনের বিয়েতে বাপের বাড়ি গিয়ে নব’র মা আত্মহত্যা করেছে শুনে সকলে একটু দিশেহারা হয়ে যায়, একটু আতঙ্কের ভাব জাগে। এমন দুরবস্থা হয়েছিল অনাথের এখানে, রোগে-শোকে অভাবে-অনটনে। মাথা বিগড়ে গিয়ে চিরকালের গোবেচারী ভােলমানুষ অনাথ মাঝে মাঝে কারণ্যে-অকারণে মারধোর পর্যন্ত শুরু করেছিল-এখানে গলায় দড়ি না দিয়ে বাপের বাড়িতে বোনের বিয়ের ২ সবে কয়েকটা দিন জিরোতে গিয়ে নব’র মা গলায় দড়ি দিয়ে বসল। অনাথের হয়েছিল জ্বর, শালীর বিয়েতে নিজের যাওয়ার সাধ্য ছিল না। নব’র মাকেও সে যেতে দিতে চায়নি। জরের ঘোরে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেছিল—শুধু নবীর মাকে নয়, তার যে ভাই তাকে নিতে এসেছিল তাকেও। এই অবস্থায় দীনহীনার মত ভায়ের সাথে বোনের বিয়ের উৎসবে গিয়ে লজ্জা দুঃখ অভিমান সইতে পারেনি বলে কি ? অনাথ এখনও জ্বরে শয্যাগত। খুড়-থুড়ে বুড়ী পিসী ছাড়া তার সেবা করারও কেউ নেই। জরেই হয়ত অনাথও সাবাড়ি হয়ে যাবে কয়েক দিনের মধ্যে। সকলে তাই পরামর্শ করে খবরটা চেপে যায়। শয্যাগত মরণাপন্ন মানুষটাকে খবরটা জানিয়ে আর লাভ কি হবে । কিন্তু কি বিষম রকম ব্যাপার। মরা এমন সহজ আর বঁাচা এমন প্ৰাণান্তকর হলে তা জগৎ-সংসারে বঁাচার মানে একেবারে উন্টে দিতে হয়-বঁাচার চেয়ে মরাই ভাল এই নীতি মানতে হয়। তাই, দু’দিন বাদেই প্ৰথম ভদ্রের শ্বাসরোধকারী গুমোটের দুপুরে তিন o *-sáss of o