পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኃዓb” হারাণের নাতজামাই ঘুরছে ভুবন এতদিন গ্রেপ্তারী ওয়ারেন্টকে কলা দেখিয়ে, কোনও গায়ে সে ধরা পড়েনি। সালিগঞ্জ থেকে তাকে পুলিস নিয়ে যাবে? তাদের গায়ের এ কলঙ্ক তারা সইবে না। ধান দেবে না বলে কবুল করেছে জান, সে জানটা দেবে এই আপনজনটার জন্যে । শীতে আর ঘুমে অবশপ্ৰায় দেহগুলি চাঙ্গা হয়ে ওঠে। লাঠি সড়কি দা” কুড়ুল বাগিয়ে চাষীরা দল বঁধতে থাকে। সালিগঞ্জে মাঝরাতে আজ দেখা দেয় সাংঘাতিক সম্ভাবনা ! গোটা আষ্টেক মশাল পুলিস সঙ্গে এনেছিল, তিন চারটি টর্চ। হাসখালি পাড়া ঘিরতে ঘিরতে দপদপ করে মশালগুলি তারা জেলে নেয়। দেখা যায় সব সশস্ত্ৰ পুলিস, কানাই ও শ্ৰীপতির হাতেও দেশী বন্দুক । পাড়াটা চিনলেও কানাই বা শ্ৰীপতি হারাণের বাড়িটা ঠিক চিনত না । সামনে রাখালের ঘর পেয়ে ঝাপ ভেঙে তাকে বাইরে আনিয়ে রেইডিং পাটির নায়ক মন্মথকে তাই জিজ্ঞেস করতে হয়, হারাণ দাসের কোন বাড়ি ? তার পাশের বাড়ির হাবাণ ছাড়াও যেন কয়েক গণ্ডা হারাণ আছে গায়ে। বোকার মত রাখাল পাণ্টা প্রশ্ন করে, আজ্ঞা কোন হারাণ দাসের কথা কন ? গালে একটা চাপড় খেয়েই এমন হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে রাখাল, দিম আটকে আটকে এমন সে ঘন ঘন উকি তুলতে থাকে যে, তাকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করাই অনৰ্থক হয়ে যায়। তখনকার মত। বোবা হাবা চাষাগুলো শুধু বেপরোয় নয় একেবারে তুখড় হয়ে উঠেছে চালাকিবাজীতে । এদিকে হারাণ বলে, হায় ভগবান! / ময়নার মা বলে, তুমি উঠিলা কেন কও দিকি ? বলে, কিন্তু জানে যে তার কথা কানো যায়নি। বুড়োর। চোখে যেমন কম দেখে, কানেও তেমনি কম শোনে হারাণ। কি হয়েছে ভাল বুঝতেও বোধ হয় পারেনি, শুধু বাইরে একটা গণ্ডগোল টের পেয়ে ভড়কে গিয়েছে। ছেলে আর মেয়েটাকে বুঝিয়ে দেওয়া গেছে চটপট, এই বুড়োকে বোঝাতে গেলে এত জোরে চেঁচাতে হবে যে প্রত্যেকটি কথা কানে পৌছবে বাইরে যারা বেড় দিয়েছে। দু’এক দণ্ড চেঁচালেই যে বুঝবে হারাণ তাও নয়, তার ভেঁাতা। টিমে মাখায় অত সহজে কোন কথা ঢোকে না। এই বুড়োর জন্য না ফাস হয়ে যায় সব { db artiffits (RCMPittGrist o