পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

变西哥一卒变丐可 আমি বললাম, তবে বললে কেন-দেশ জন্মাবে না ? কথার সুরে মনে হল দেশ না জন্মালে ক্ষতি নেই। সে বললে, ও যাদির কথা। আমরা মা না হলে যদি দেশের সুতিকাঘরের সাড়ে তিন দিকের দেয়াল সত্যি ভেঙ্গে পড়ে। জন্মানােটাই কি দেশের চরম সৌভাগ্য ? না জন্মানোটা দুৰ্ভাগ্য ? কত দেশ গেছে। সমুদ্রের তলে, কত জাতির চিহ্ন লুপ্ত হয়েচে। সে জন্য কে তাদের দোষ দেয় ? অবসানের দুঃখ কি ? BBDD DD DBDB DB DD DS BDBDBBB DD DBBDBD BB BD Galto (3TCof Cofosfo C5C 33e o vse আমি বললাম, এ সব হতাশার বাণী, ভুল কথা। মৃত্যুতে মানুষের লজ্জা নেই, কারণ মৃত্যু যবনিকা নয়, পটপরিবর্তন। নিজের জীবন মানুষ পৃথিবীর মানুষের মধ্যে জমা করে রেখে যায়, স্বৰ্গে নিয়ে যায় না। জমা করা জীবন যখন পচে যায় ? একমাত্র Noahাকে বঁচিয়ে প্রলয়ের মধ্য দিয়ে যখন ভগবান ভ্ৰমসংশোধন করতে বাধ্য হন ? তখন ভগবান অত্যাচারী খেয়ালী। প্ৰলয় যে এনে দিতে পারে সে সংস্কারে অক্ষম হবে কেন ? জীবনের রোগ আছে, ফাসি ছাড়া আরোগ্য নেই ? ক্রমাগত রোগে ভোগার চেয়ে মরণ ভাল, কিন্তু রোগ সারিয়ে বেঁচে থাকা আরও ভাল । সে মৃদু হাসল, তোমার হল কি ? আমি পূবে পা বাড়াচ্চি, তুমি হাকচ পশ্চিমে যাত্রা নাস্তি। সুস্থ সবল হয়ে বঁচা মন্দ আমি তা বলিনি। বলেচি, লয় অপরাধ নয়, লয়ে লজ্জা নেই। এটা আমাদের আলোচনা-গণ্ডীর বাইরের অতিরিক্ত সত্য। আমার সমস্যার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে ব্যাকুল হয়ে না। পাগল! হাজার হাজার মানুষের দেহের রক্ত আর জীবনের দিন দিয়ে অনুস্থ দেশের জন্যে ওষুধ তৈরী হচ্চে, আমি করব তার প্রতিবাদ ? অতিরিক্ত দার্শনিক তত্ত্বকথা থাক, আমার কথাটা নিয়ে আলোচনা চলুক। আমি বলেচি, অসুস্থ দেশের ওষুধের উপযুক্ত জীবন স্বষ্টি হোক, কিন্তু কুপথ্য আর বিষের স্বষ্টি যেন না হয়। তুমি প্ৰতিবাদ করা ? আমি বললাম, ঠিক প্ৰতিবাদ নয়। বলতে চাই, সে ত তোমাদের হাতে ! মানে ? মানে, সব শিশুই আরম্ভ-পরিণতি নয়। জীবনের ভিত্তির মিস্ত্রীও তোমরা । তুমি ছেলে দুটিকে মানুষ করে গড়ে তুললে না কেন ? স্বামীর মঙ্গল করতে পারলে o wN-fcfb5 diwr o