পাতা:মায়াবাঁশী - রবীন্দ্রনাথ মিত্র.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২৫
মায়াবাঁশী

তাকে ডাকছেন, “উঠে পড়, পালাই চল।” “এবারও কিছু চুরি নাকি?” “না, এবার দান। এই দেখ, বলে যে সোনার ঘটিটা চুরি করে এনেছিলেন সেটা টেবিলের উপর রেখে জডিগের হাত ধরে সাধু পথে বেরিয়ে পড়লেন। যে লোকটা এত অসম্মান করল তার উপর সাধুর এই অদ্ভুত অনুরাগের কারণ কিছু না বুঝতে পেরে জডিগ হাঁ করে চেয়ে রইল। সাধু জডিগের মনের ভাব বুঝে বললেন, “চুপ! যা করি দেখে যাও। একটা কথাও বোলো না।”

 এ দিনটাও পথে পথে কাটল। সন্ধ্যাকালে একটি ছোট গাঁয়ে দু’জনে এসে উপস্থিত হ’লেন। সেখানে ছোট একটি কুঁড়ের দরজায় এসে সাধু ডাকলেন, “ওগো, আমরা দুটি অতিথি।” কথা শেষ হতে না হতেই একটি বুড়ো লোক এসে দরজা খুলে দিল। তারপর হাত জোড় ক’রে বললে, “আসুন, ভিতরে আসুন, গরীবের বাড়ী দয়া করে এসেছেন, যৎকিঞ্চিৎ ফলমূল আছে গ্রহণ করুন।”

 বুড়োর আগ্রহ দেখে দুজনে বড় খুসী হলেন। ঘরে ঢুকে দেখলেন, ঘরখানি ছোট বটে কিন্তু বেশ পরিস্কার। ছোট একখানি টিপাইয়ের উপরে গুটি কয়েক বনের ফল। বুড়ো