পাতা:মালিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্বেষ উঠিল গৰ্জি। দয়াধর্মহীন, তোমারে ঘেরিয়া চারি দিকে- একাকিনী দাঁড়াইয়া পূর্ণ মহিমায় কী রাগিণী বাজাইলে। বংশীরবে যেন মন্ত্রাহিত বিদ্রোহ করিল আসি ফণা অবনত তব পদতলে। শুধু বিপ্ৰ ক্ষেমংকর রহিল পাযাণচিত্ত, আটল-অন্তর। একদা ধরিয়া করা কহিল সে মোরে - ‘বন্ধু, আমি চলিলাম দূর দেশান্তরে। আনিয়া বিদেশী সৈন্য বরুণার কুলে নবধর্ম উৎপাটন করিব সমূলে পুণ্য কাশী হতো।” চলি গেল রিক্ত হাতে অজ্ঞাত ভুবনে। শুধু লয়ে গেল সাথে আমার হৃদয়, আর, প্ৰতিজ্ঞা কঠোর। - তার পরে জান তুমি কী ঘটিল মোর। লভিলাম যেন আমি নবজন্মভূমি যেদিন এ শুষ্ক চিত্তে বরষিলে তুমি সুধাবৃষ্টি। ‘সর্ব জীবে দয়া’ জানে সবে অতি পুরাতন কথা—তবু এই ভাবে এই কথা বসি আছে লক্ষবর্ষ ধরি সংসারের পর তীরে। তারে পার করি তুমি আজি আনিয়াছ সোনার তরীতে (V)