পাতা:মাসিক বসুমতী (চতুর্থ বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ে২ মাসিক বসুমতী [ ২য় খণ্ড, ৪র্থ সংখ্যা।

= =

দেখিতে লাগিল। এই জাশ যে তাহার বাগদত্তা, সে জন্তের ভূমি না কি একে খুব ভালবাস, সেই জন্য দাদা একে বিয়ে হইবে, এ কি সহ হয় ? না, জাজ যেমন করিয়াই হউক, করবেই। কেন দাদ, এ রকম-- কাকাকে সব বলা চাই-ই, নহিলে তাহারই সব যায় যে! তিরস্কারের সুরে রতন বলিল, “ছোটমুখে ও সব কথা চল চরণক্ষেপে চতুর্দিক শৰায়িত করিয়া জুটিতে মোটেই মানায় না মুণী, তুই বা খেলা কর গিয়ে। ও সব ছটিতে মুলী আসিয়া পড়িল। “কার ছৰি দাদা,- ব্যাপার নিয়ে তোকে এখন হ'তে বুড়োর মত মাথা ঘামাতে দেৰি ?” হবে না ।” ফস করিয়া রতনের হাত হইতে ফটোখানা টানিয়া মাখ ছলাইয়া মুণী বলিল, “না, মাথা ঘামাতে হবে না। লইয়া একটি বারের জন্ত পলকের দৃষ্টিপাত করিয়া সহজ বই কি, যা শুনেছি তাও বলব না ? তুমি না কি তোমার ফুরেই সে বলিল, “ও, বউদির ছবি দেখছ?” বাড়ীঘর, বাগান-পুকুর নিতে এসেছ দাদা, আমাদের “বউদি,~বউদি কে ?" সকলকে না কি তাড়িয়ে দেবে ?” রতন একবারে অবাক হইয়া গেল । তাহার সহিত রতন জিজ্ঞাস করিল, "কে বললে ? আশার বিবাহ হইবে, এ কথা তবে বাড়ীর সকলেই মুলী উত্তর দিল, “মা তোমার এখানে আসার আগে। জানে। বাবাকে বলছিলেন, আমি লুকিয়ে থেকে সব শুনেছি। উচ্চ হাসিয়া মুশী বলিল, “ও মা, সে কথা তুমি জান না আমাদের কেন তাড়িয়ে দেবে দাদা ! আমরা কি করেছি ?” বড়লা ? এই মেয়ের নাম আশা না ? এর সঙ্গে দাদার বিয়ের গম্ভীর স্বরে রতন বলিল, কিছু করিস নি বোন, কিছু সম্বন্ধ ঠিক হয়ে গেছে ; আশীৰ্বাদ পৰ্য্যন্ত হয়ে গেছে যে ! করিস নি। হ্যা রে মুন্সী, আমায় দেখে কি তেমনি মনে এই ত বৈশাখ মাসেই বিয়ে হবে, সব ঠিক। হ্যা, বড়দা, হয়, আমি কি তোদের তাড়িয়ে দিতে পারি ? এ বাড়ী তোমার সঙ্গে না কি এর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ? ” ঘর, বাগান-পুকুর, যার কথা তুই বলছিস, এ সবই যে । রতন একবারে শুম্ভিত হইয়া গিয়াছিল, তাহার মনে তোদের বোন, আমি এখানে ছদিনের জন্তে এসেছি, হইতেছিল, এমন আঘাত সে জীবনে আর কখনও পায় কিছুই ত নিতে আসি নি। কাকা যদি আমায় না। নাই। এক দিন সে আর একটা ছঃসহ আঘাত পাইয়াছিল, দেখতেন, কাকিমা যদি আমায় কোলে তুলে না নিতেন, সে তাহার পিতার মৃত্যুর দিনে ; কিন্তু সে অসহ শোকেও এত দিন কোথায় থাকতুম ? সংসারের সঙ্গে সকল সম্পর্কই সে সাত্বনা পাইয়াছিল। আাজিকার এ বেদনায় সে সাবনা আমার উঠে যেত যে! আমি নেমকহারাম নই, জামি জীবন পাইবে কোথায় ? থাকতে সে কথা ত ভুলতে পারব না, ভাই । আষাতের প্রথম বেদনাটা সামলাইয়া লইতে রতনের রতনের অস্বরে কতখানি গভীর ক্ষত উৎপন্ন হইয়াছিল, করেক মুহূৰ্ত্ত কাটিয়া গেল ; তাহার পরই সে বিবৰ্ণ মুখে তাহ তাহার বাহ ভাব দেখিন্না কেহই বুঝিতে পারিল বলিয়া উঠিল, *কে বললে এর সঙ্গে আমার বিয়ে হওয়ার না। কেহ জানিতে পারিল না, তাহার বুকের অভ্যন্তরে কথা ছিল ?” রাবণের চিতা জলিতেছে, সেই চিতায় তাহার শাস্তি, মুখ সুণী হাসিয়া উঠিয়া করতালি দিয়া বলিল, “াহ! সবই পুড়িয়া গিয়াছে। আমি যেন কিছু জানিনে। মা আার দাদ এক দিন এই সব চৈত্র মাস শেষ হইয়া আসিল। রতন গিয়া কাকাকে কথাই ত বলছিল, আমি সেখানে বসে পুতুল খেলতে জানাইল,সে ছই তিন দিনের মধ্যে তাহার কার্য্যস্থল লাহোর খেলতে সৰ শুনেছি। হু’ হ’, জামার চোখে ধুলে দেওয়া চলিয়া যাইবে। অমনি কি না। । কিশোর বাবু কি লিখিতেছিলেন, হাতের কলমটা মুণী খানিকটা খুব হাসিলা লইয়া তাহার পর হঠাৎ ফেসিয়া তাহার মুখপানে তাকাইয়া বলিলেন, ছয় মাসের গভীর হইয়া উঠিয়া বলিল, “ছা বড়দাঁ, মিই কেন দুটা নিয়ে এসেছিল তিন মাসও পূরো এই নি । এর মধ্যে চলে একে বিয়ে করলে না ? দাদা বলছিল জরুশ দাদার কাছে, যাবি কি, রতনণ”