পাতা:মিবাররাজ.djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দশম পরিচ্ছেদ।
৩৭

উপায়ে গুহার পথের কণ্টক দূর করাই কি তাঁহার অভিপ্রায় নহে?”—পিতার প্রতি কথা তলাইয়া তাহাতে এখন সে গুহার প্রতিই তাঁহার মেহের ভাব দেখিতে লাগিল।

 যে হৃদয়ে একবার সন্দেহ প্রবেশ করিয়াছে, অবিশ্বাসের আঘাতে যে হৃদয় একবার ক্ষত হইয়া পড়িয়াছে, সে হৃদয় প্রতি মুহূর্ত্তে স্নেহের শীতল স্পর্শ অনুভব করিতে না পারিলে, অবিরত স্নেহের আশ্বাস বাণীরূপ ঔষধের প্রলেপ না পাইলে—একেবারে আরোগ্য লাভ করিতে চাহে না, সে ক্ষত পুনঃ পুনঃ ফিরিয়া দেখা দেয়।

 পিতার স্নেহের বাঁধন হইতে দূরে আসিয়া পুত্রের ভাঙ্গন ধরা বিশ্বাস আস্তে আস্তে খসিয়া পড়িতে লাগিল, কিছুতেই সে তাহা ধরিয়া রাখিতে পারিল না, তাহার মনের মধ্যে একটা নৈরাশ্যের আগুণ হুহু করিয়া উঠিল। এই নৈরাশ্য লইয়া এই কষ্টের মন লইয়া কেমন করিয়া সে এখন গুহাকে আলিঙ্গন করে! যে প্রেমের ভাব হৃদয়ে ধরিয়া সে গুহাকে বন্ধু বলিতে আসিতেছিল —সে ভাব ত তাহার এখন নাই, তবে এখন সে কি করিবে? এই কথা বলিতে আবার কি পিতার নিকট সে ফিরিয়া যাইবে? ভীলপুত্র পীড়িত ক্লিষ্ট হইয়া পড়িল, তাহার চিন্তা ভার লইয়া সে যে একেবারে মন্দিরের নিকটে উপস্থিত হইয়াছে তাহা সে জানিতে পারে নাই, হঠাৎ গুহার কুপিত স্বর তাহার কানে প্রবেশ করিল—সে দাঁড়াইল,—