পাতা:মিবাররাজ.djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্দ্দশ পরিচ্ছেদ।
৫৭

বার সময় হাত টলমল করিয়া উঠিল। তালগাছকে দেথিয়া গুহা কথা কহিল, কিন্তু রণোদ্যত শত্রুর ক্রুদ্ধ কর্কশ স্বরের পরিবর্ত্তে গুহার স্বাভাবিক তেজস্বী স্বর তালগাছের কর্ণে প্রবিষ্ট হইল। গুহা বলিল—

 “তালগাছ একটু অপেক্ষা কর—ধনুক ধরিবার আগে আমি যে কথা বলিতে আসিয়াছি শোন।”

 এখনো আগেকার মত অনুজ্ঞা! কিন্তু এখন আর আগেকার সে ভীলপুত্র নহে। ভীলপুত্র আরো ভাল করিয়া ধনুর্ব্বাণ কসিয়া ধরিল,—তাহার পর তাহার ভাষায় কম্পমানকণ্ঠে বলিল—

 “ধনুক উঠারে কাপুরুষ এখন কণার সময় নহে, তুই প্রাণভয়ে এত কাতর, আমি নির্ভয়ে তোর কাছে প্রাণ লইয়া আসিয়াছি।”

 ভীলপুত্রের হস্ত তাহার প্রতি উন্মুখ হইল, গুহার ধনুক ধরিবার মাত্র অপেক্ষা। তখন গুহাও ধনুক উঠাইয়া বলিলেন তবে তাহাই হউক, এ হত্যার দোষ কিন্তু আমার নাই।”

 বলিয়া তীর নিক্ষেপ করিলেন, কখনো যাহা হয় নাই আজ তাঁহার অটল হাত কাঁপিয়া গেল। সমকালে ভীলপুত্রের বাণও সবেগে নিক্ষিপ্ত হইল, হঠাৎ একটা আর্ত্তনাদ রাত্রের বিজনতা বিদীর্ণ করিয়া আকাশে উথলিয়া উঠিল, ভীলপুত্র হঠাৎ বজ্রাহত হইয়া মূর্চ্ছিত হইয়া পড়িল।