পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
মিষ্টান্ন-পাক

বিকৃত হইবার সম্ভাবনা। রোগীকে এককালে অধিক পরিমাণে দুগ্ধ পান করিতে দেওয়া, স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকূল নহে। কাহার-ও কাহার-ও মতে, বার ঘণ্টার মধ্যে চারিবার পান করিতে দিলে-ই চলিতে পারে। যেরূপ নিয়মে চা পান করা হয়, সেইরূপ নিয়মে, ঈষদুষ্ণ দুগ্ধ চামচে করিয়া পান করিলে, সমধিক উপকার হইবার কথা; কারণ, অল্প অল্প পরিমাণে দুগ্ধ পান করিলে, মুখের লালার সহিত মিশ্রিত হইয়া, উহা সহজে পরিপাক হয়। এককালে অধিক দুগ্ধ পান করিলে, পরিপাকের ব্যাঘাত জন্মিয়া থাকে।

 কোন কোন চিকিৎসক, উদরাময় না থাকিলে, দুধ জ্বাল না দিয়া, পান করিতে পরামর্শ দিয়া থাকেন। রোগীকে গরম দুধ পান করিতে দিতে হইলে, দুধ জ্বাল না দিয়া, একটি বোতলে পুরিয়া, সেই বোতলটি ফুটন্ত জলে কিছুক্ষণ ডুবাইয়া রাখিলে-ই, দুধ গরম হইবে। এই দুধ পান করা ভাল।

 আমাদের দেশে, দুধ জ্বাল দিয়া, তাহা হইতে সর তোলা হইয়া থাকে; এজন্য, এ-দেশীয় দুধ ও বিলাতি ননী বা ক্রিম তোলা দুধের গুণের তারতম্য হইয়া থাকে। এদেশে চিকিৎসকগণ, কাঁচা দুধ হইতে মাখন তুলিয়া, সেই দুধ রোগীর পথ্যে ব্যবস্থা করিয়া থাকেন।

 অম্লরোগে, অর্থাৎ যে সকল রোগীয় বুক জ্বালা প্রভৃতি উপসর্গ থাকে, তাহাদিগের জন্য দুগ্ধের সহিত গুঁড়া সোডা, চূণের জল কিংবা লবণ মিশাইয়া পান করিতে দিতে হয়। দুধের সহিত সামান্য পরিমাণে ভাতের ফেন, বার্লি-ওয়াটার, মেলিন্স্ ফুড প্রভৃতির যে কোনটি মিশাইয়া, পান করিলে, দুগ্ধ আমাশয়ে গিয়া, ছানায় পরিণত হয় না। এইরূপ দুগ্ধ সহজে হজম হয়।