পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃতের কথোপকথন

এই সত্যটি সারা দেশের লোকের প্রাণে প্রাণে গেঁথে দেওয়া দরকার হয়েছিল, তাই শরীরের প্রসাধনের জালজঞ্জাল সব নষ্ট যে হয়েছে, তা মঙ্গলের ছাড়া অমঙ্গলের নয়। তারপর যে অরাজকতার কথা বল্‌ছ তা আমি থাক্‌তে হয় নি। আমার পরে আমার কাজটি চালাবার মত লোকের উদ্ভব হ’ল না, নতুবা এই নতুন ধর্ম্ম যদি আরও সম্যকরূপে প্রচারিত হ’ত, বিদেশীর প্রাণ যদি এই ছাঁচে ঢেলে গড়া হ’ত, তবে দেখতে, কি শান্তির, কি যদৃচ্ছাসন্তুষ্টির, কি অধ্যাত্মমুখী জীবন মানব সমাজে ফুটে উঠ‍্তো।

চন্দ্রগুপ্ত

 হাঁ, মানব সমাজ তবে হ’য়ে পড়‍্তো ভিক্ষুকের সমাজ—দুর্ব্বল, দুঃস্থ, কুৎসিত। কিন্তু তা যে একেবারে হয় নি, সে তোমার চেষ্টার ত্রুটির ফলে

৮৫