পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

୩୫-~tଶ Sa ইতিমধ্যে মারা গিয়েছিলেন। ভাই-দুটিকে নিয়ে গেলুম মোরাদাবাদে । LBBBD gLD DBBDBD DD D BBDBBHBu BB BDBDSDBDDDBD DDLDDD t、 এখানে ডাক্তারি করতেন। সেই থেকে বম্বে অঞ্চলেরই অধিবাসী হয়ে পড়েছি। বহুদিন বাংলা দেশে যাইনি, প্ৰায় ষোল সতের বছর হ’ল। বাংলা দেশের জল-মাটি গাছপালার জন্যে মনটা তৃষিত হয়ে আছে। তাই আজি সন্ধ্যার সময় সমুদ্রের ধারে বসে আমার সবুজ-শাড়ী পরা বাংলা মায়ের কথাই ভাবছিলুম। --রাজাবাই টাওয়ারের মাথার ওপর এখনও একটু একটু রোদ আছে। বন্দরের নীলজলে মেসাজেরী মারিতিমদের একখানা জাহাজ দাড়িয়ে দাড়িয়ে ধোয়া ছাড়ছে, এখানা এখুনি ছেড়ে যাবে। বঁ|- ধারে খুব দূরে এলিফ্যান্টার নীল সীমারেখা।--ভাবতে ভাবতে প্রথম যৌবনের একটা বিস্মৃতপ্ৰায় ঝাপসা ছবি বড় স্পষ্ট হয়ে মনে এল। পাঁচিশ বছর পূর্বের এমনি এক সন্ধ্যায় দূর বাংলা দেশের এক নিভৃত পল্পীগ্রামের জীর্ণ শান-বাধানো পুকুরের ঘাট বেয়ে উঠছে, আদ্ৰ-বসনা তরুণী এক পল্লীবধু!-মাটির পথের বুকে বুকে লক্ষ্মীর চরণচিহ্নের মত তার জলসিক্ত প-দুখানির রেখা আঁকা।--আঁধার সন্ধ্যায়। তার পথের ধারের বেণু কুঞ্জে লক্ষ্মীপেঁচা ডাকছে। তার স্নেহ ভরা পবিত্ৰ বুকখানি বাইরের জগৎ সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত অনিশ্চয়তায় ভরা। আম কঁাটালের বনের মাথার ওপরকার নীলাকাশে দু’একটা নক্ষত্র উঠে সরলা স্নেহ-দুৰ্বল বাধুটির ওপর সম্মেহ কৃপাদৃষ্টিতে চেয়ে আছে।--তারপর এক শান্ত আঙ্গিনায় তুলসী মঞ্চমূলে স্নেহাস্পদের মঙ্গলপ্রাঘিণী সে কোন প্ৰণাম নিরতা মাতৃমূৰ্ত্তি, করুণা মাখা অশ্র-ছলছল ॥••• ওগো লক্ষ্মী, ওগো স্নেহময়ী পল্লীবধু তুমি আজও কি আছে ? এই সুদীর্ঘ পচিশ বছর পরে আজও তুমি কি সেই পুকুরের ভাঙ্গা ঘাটে সেই রকম জল আনতে যাও ? “আজ সে কত কালের কথা হ’ল, তারপর জীবনে আবার কত কি দেখলুম, আবার কত কি পেলুম- আজি কতদিন পরে