পাতা:যন্ত্রক্ষেত্রদীপিকা.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 যন্ত্রক্ষেত্রদীপিকা । যায়। তন্মধ্যে দুইট উপরে আর তিনটী বা ততোধিক পার্শ্বে সংলগ্ন থাকে ; এগুলি অস্থির বা অন্য কোন কঠিন পদার্থেরও হইতে পারে। আর দাণ্ডার পশ্চাৎ ভাগে যে, এক একটা সূত্রগুচ্ছ দ্বার প্রত্যেক সারিক আবদ্ধ থাকে, তন্তুনিৰ্ম্মিত বলিয়া তাহাদিগকে তান্তবসূত্র বলা যায়। কিন্তু সামান্য সূতা বা রেসনের দ্বারাও সারিকাবন্ধন হইতে পারে। শক্ত হইবে সুতরাং অনেক দিন সাইবে বলিয়া তান্তবসূত্রই সচরাচর ব্যবহৃত হয়। প্রত্যেক সারিকা ইচ্ছামত নড়ান যাইতে । পারে, যে সকল সেতারের পর্দা উচ্চ নীচ করিয়া নড়ান যায়, সে সকল সেতারের নাম সচলঠাট সেতার । এইরূপ পর্দাচালন পদ্ধতি কেবল স্বরকে কোমল এবং তীব্র করিবার জন্য ব্যবহৃত হয়। এক্ষণে সেতারের অবয়ব একরূপ বলা হইল। ইহার উপর তার চড়াইলেই সেতার সম্পূর্ণ অবয়ব ধারণ করে । * সেতারের পূর্বতন সংস্কৃত নাম ত্রিতন্ত্রী। তিনটী তন্ত্রবিশিষ্ট যে যন্ত্র, তাহাকেই সংস্কৃতভাষায় ত্রিতন্ত্রী বলে। বস্তুতও পূৰ্ব্বে ত্রিতন্ত্রীতে তিনটা করিয়া তার আবদ্ধ থাকিত, যেহেতু এখনও পশ্চিমদেশীয় কোন কোন সেতারে তিনটী তার সংলগ্ন থাকা দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু ইহা অতি বিরল। যাহা হউক, যবন রাজাদিগের রাজত্বকালে সঙ্গীতের ক্রিয়াসিদ্ধাংশ উহাদিগের নিকট বিশেষ আদৃত হওয়াতে কেহ কেহ বলেন, আমাদিগের সংস্কৃত নামের ঐক্য রাখিয়া আমীর খস্রু এই ত্রিতন্ত্রীর “সেতার” আখ্যা প্রদান করেন। পারসিক ভাষায় “সে” শব্দের অর্থ তিন এবং “ তার ” শব্দের অর্থ তন্ত্র। যদিও এই যন্ত্রের সংস্কৃতানুযায়ী নাম ত্রিতন্ত্রী এবং পারসিক নাম সেতার এতদুভয় শব্দেরই অর্থগত ঐক্য আছে বটে, কিন্তু কাৰ্য্যগত কোন ঐক্য সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায় না * কারণ এক্ষণে ইহাতে সাধারণতঃ পাচট তার যোজিত থাকে, এবং যন্ত্র বড় হইলে উক্ত পাঁচটা ব্যতীত আরও তিন চারিট অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তার আবদ্ধ থাকা দেখিতে পাওয়া যায়, এই শেষোক্ত তারগুলির নাম চিকারী বা পাশ্বতন্ত্রিকা । সংস্কৃতসঙ্গীতগ্রস্থকর্তারা যে মানাবিধ বীণার নাম নির্দেশ করিয়াছেন,