পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রজতগিরি-নন্দিনী । - প্রকাশিত শরচ্চন্দ্রিমার ন্যায় আমরা একরূপ আছন্ন থাকবে,—তা বটে ; কিন্তু দেখ, আমরা অনুঢ়া নবযৌবনা, এতে আমাদের মনের মুখ নাই ! শীতল হ’তে গিয়ে কেবল বিকল হওয়া মাত্র । আমি যদি না আস্তেমৃ—সে বরং ভাল ছিল ; দুটি যে ফুল তুলবো তারো যে নেই । ক্ষণ প্র । কেন বল দেখি ? প্রমীলা । বসন্তে ফুলধনু বিষম জ্বালা দেয় । তায় অবলার ক্ষীণ তনু ডরে সর্বদাই সিউরে উঠে । অণর শীতল জীবনে কখনই তাদের প্রাণ শীতল হয় না । জলে যেন কেবল অনল জ্বলে, ছুলেই অবল বিকল হয় । এই যে ফাগুণ মাস, এতে কেবল আগুন জ্বলচে । অনিলে অনলে কিছু ভেদ নাই । আর দাবানল দেখে হরিণী যেমন চঞ্চল। হয়, বসন্তের মলয়ানল ও বিরহিণীর পক্ষে তেমনি জানবে । নিশকরের শীতল কর যেন হুতাশন লাগে । আর বসনভূষণে কেবল বিষধর দংশন করচে । লোকে বলে চন্দনে অঙ্গ শীতল হয়, কিন্তু সে কেবল কুলালের পণের ন্যায় উপরে শীতল, কিন্তু অন্তরে অনল জ্বলচে । লীলা । তা বটে ;–অবলার স্বামী সহায় না থাকলে সব শত্র হয়ে দাড়ায় । দেখ অগ্নিতে ও বায়ুতে চিরকালের সখ্যতা, এ সকলেই জানে। কিন্তু প্রদীপূটা ক্ষীণ বলে বাতাস তা’কেই নিৰ্ব্বাণ করেন । তখন আর সে ভাব থাকে না । ক্ষণপ্র । দেখ, আমরা অনুঢ়া, মাতা পিতার অধীন, র্তাদের মন না হ’লে আমাদের এ সকল দুঃখু যাবে না। কিন্তু