পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)○切* ஆ রবীন্দ্র-রচনাবলী নে কেন, আমার মনে হয়েছিল, উজ্জলতা আছে বটে কিন্তু চেহারাটা অনেকখানি খাদে মিশিয়ে গড়া—চোখে আর ঠোটে কী একটা আছে যেটা খাটি নয়। সেই छटछझे चांभांब वायौ यथन बिना क्षिाञ्च ॐांद्र नकल लांवि भूब्रन कब्राउन चांयांब्र ভালো লাগত না। অপব্যয় আমি সইতে পারতুম, কিন্তু আমার কেবলই মনে হত বন্ধু হয়ে এ-লো কটা আমার স্বামীকে ঠকাচ্ছে। কেননা ভাবখানা তো তপস্বীর মতো নয়, গরিবের মতোও নয়, দিব্যি বাবুর মতো । ভিতরে আরামের ८लांड व्षां८छ् अ५5-७हे ब्रकभ नांना कथां चांभांब्र भ८न छैनम्न श्रघ्नश्लि । चांछ ८नझे সব কথা মনে উঠছে—কিন্তু থাক । কিন্তু সেদিন সন্দীপবাবু যখন বক্তৃতা দিতে লাগলেন আর এই বৃহৎ সভার হৃদয় দুলে দুলে ফুলে ফুলে উঠে কুল ছাপিয়ে ভেসে যাবার জো হল, তখন তার সে এক আশ্চর্ষ মূর্তি দেখলুম। বিশেষত এক সময় স্বর্য ক্রমে নেমে এসে ছাদের নিচে দিয়ে র্তার মুখের উপর যখন হঠাৎ রৌদ্র ছড়িয়ে দিলে তখন মনে হল তিনি যে অমরলোকের মানুষ, এই কথাটা দেবতা সেদিন সমস্ত নরনারীর সামনে প্রকাশ করে দিলেন। বক্তৃতার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক কথায় যেন ঝড়ের দমকা হাওয়া । সাহসের অস্ত নেই। আমার চোখের সামনে যেটুকু চিকের আড়াল ছিল সে আমি সইতে পারছিলুম না। কখন নিজের অগোচরে চিক খানিকটা সরিয়ে ফেলে মুখ বের করে তার মুখের দিকে চেয়ে ছিলুম আমার মনে পড়ে না । সমস্ত সভায় এমন একটি লোক ছিল না আমার মুখ দেখবার যার একটু অবকাশ ছিল । কেবল এক সময় দেখলুম কালপুরুষের নক্ষত্রের মতো সন্দীপবাবুর উজ্জল ছুই চোখ আমার মুখের উপর এসে পড়ল, কিন্তু আমার হু শ ছিল না । আমি কি তখন রাজবাড়ির বউ ? আমি তখন বাংলাদেশের সমস্ত নারীর একমাত্র প্রতিনিধি—আর তিনি বাংলাদেশের বীর। যেমন আকাশের স্বর্ষের আলো তার ওই ললাটের উপর পড়েছে, তেমনি দেশের নারীচিত্তের অভিষেক যে চাই। নইলে তার রণযাত্রার মাঙ্গল্য পূর্ণ হৰে কী করে ? আমি স্পষ্টই অনুভব করতে পারলুম আমার মুখের দিকে চাওয়ার পর থেকে র্তার ভাষার আগুন আরও জলে উঠল । ইন্দ্রের উচ্চৈঃশ্রব তখন আর রাশ মানতে চাইল না—বঞ্জের উপর বজের গর্জন, বিছাতের উপর ৰিছাতের চমকানি । জামার মন বললে, আমারই চোখের শিখায় এই আগুন ধরিয়ে দিলে। আমরা কি কেবল লক্ষ্মী, আমরাই তো ভারতী । সেদিন একটা অপূর্ব আনন্দ এবং অহংকারের দীপ্তি নিয়ে বাড়ি ফিরে এলুম।