পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশেষ শ্যামল দাক্ষিণ্যে ভরা সহজ আতিথ্যে বসুন্ধরা যেথা স্নিগ্ধ শান্তিময়, যেথা তার অফুরান মাধুৰ্যসঞ্চয় ze ce বিচিত্ৰ বিলাস আনে রূপে রসে গানে ; বিশ্বের প্রাঙ্গণে আজি ছুটি হােক মোর, ছিন্ন করে দাও কর্মন্ডোর । উচ্ছঙ্খল সমীরণ যে কুসুম এনেছে উড়ায়ে সহজে ধুলায়, পাখির কুলায় দিনে দিনে ভরি উঠে যে সহজ গানে, আলোকের ছোওয়া লেগে সবুজের তন্মুরার তানে ; এই বিশ্বসত্তার পরাশ, স্থলে জলে তলে তলে এই গৃঢ় প্রাণের হরষ তুলি লব অন্তরে অন্তরেসর্বদেহে, রক্তস্রোতে, চোখের দৃষ্টিতে, কণ্ঠস্বরে, জাগরণে, ধোঁয়ানে, তন্দ্ৰায়, এ জন্মের গোধূলির ধূসর প্রহরে শেষবার ভরিব হৃদয় মন দেহ দূর করি সব কর্ম, সব তর্ক, সকল সন্দেহ, সব খ্যাতি, সকল দুরাশা, বলে যাব, “আমি যাই, রেখে যাই মোর ভালোবাসা ।” [শান্তিনিকেতন] ২৩ বৈশাখ ১৩৩৮ পান্থ শুধায়ো না মোরে তুমি মুক্তি কোথা, মুক্তি করে কই, আমি তো সাধক নই, আমি গুরু নাই । আমি কবি, আছি ধরণীর অতি কাছাকাছি, এ পারের খেয়ার ঘাটায় । সম্মুখে প্ৰাণের নদী জোয়ার-ভাটায় নিত্য বহে নিয়ে ছায়া আলো, মন্দ ভালো, ভেসে-যাওয়া কত কী যে, ভুলে-যাওয়া কত রাশি রাশি লাভক্ষতি কান্নাহাসি R6ł