পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰন্থপরিচয় Ve>A বলা বাহুল্য, এই সম্পূর্ণ নূতন পঙক্তি স্বতন্ত্ৰ মহুয়া গ্রন্থে কিংবা রবীন্দ্র-রচনাবলী-ভুক্ত মহুয়া গ্রন্থে গ্রহণের অবকাশ ছিল না, কেননা এই পত্র রচনার কয়েক বৎসর পূর্বেই, পাণ্ডুলিপি হইতে উদ্ধার ৈ করিয়া ছুটি ছত্রটি (নত করি মাথা) মহুয়া গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে (বৈশাখ ১৩৪১) মুদ্রিত হইয়াছিল। পত্রটি লিখিবার কালে সে কথা স্মরণ না থাকায় রবীন্দ্রনাথ নূতন একটি ছত্ৰ লিখিয়া পাঠান এরূপ অনুমান করা যায় । মহুয়ার ‘প্রচ্ছন্ন’ ও ‘প্রত্যাগত কবিতা দুইটি শিল্পী নন্দলাল বসুর দুইখানি চিত্রের প্রেরণায় লিখিত তাহা নির্মলকুমারী মহলানবিশকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের “পত্রাবলীর বিভিন্ন পত্রে জানা যায় । দ্রষ্টব্য, দেশ : ২০ ফায়ুন ১৩৬৭, পত্র ৮২ ও ২৫ চৈত্র ১৩৬৭ । পত্র ১১৫ । সর্বশেষ বাক্য ও তৎসম্পর্কে •ात्रीका | বহুকাল-প্রচলিত একটি বিশেষ মুদ্রণ প্ৰমাদ সংশোধিত হইয়াছে বিদায় কবিতায় পাণ্ডুলিপি দেখার ফলে । পৃ ৭৭, দ্বিতীয় ছত্ৰে “বিস্মৃত প্রদোষে স্থলে মূলানুগ শুদ্ধপাঠ : “বিস্মৃতিপ্রদোষে । বনবাণী বনবাণী ১৩৩৮ সালের আশ্বিন মাসে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় । রচনাবলী-সংস্করণে গ্রন্থটির ‘বনবাণী’ এবং ‘বৃক্ষরোপণ্য-উৎসব’ কেবল এই দুইটি কবিতা-অংশ মুদ্রিত হইল । রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত পাণ্ডুলিপির সাহায্যে অনেক কবিতার রচনাকাল ও পাঠ সংশোধিত এবং রচনাস্থান নির্দিষ্ট হইল । বনবাণীর ভূমিকাটি তেজেশচন্দ্র সেনকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের একটি পত্রের” পরিমার্জিত রূপ। পাণ্ডুলিপিতে উক্ত কবিতাটির আরম্ভে নিম্নমুদ্রিত তিনটি অতিরিক্ত শ্লোক আছে : বাসাটি বেঁধে আছ মুক্তদ্বারে বটের ছায়াটিতে PYRKI GK || সমুখ দিয়ে যাই ; মনেতে ভাবি তোমার ঘরে ছিল আমারো দাবি, হারায়ে ফেলেছি সে ঘূর্ণিবায়ে অনেক কাজে আর অনেক দায়ে । ७२८ प्र°८२-b পথিক জনা আপনি এসে বসে অন্য মন | তাহার বাসা সেও চলারই তালে, তাহার আনাগোনা সহজ চালে, আসন লঘু তার, অম বোবা সোজা সে চলে আসে, যায়। সে সোজা । আমি যে ফ্ৰাদি ভিত বিরাম ভুলি”, চুড়ার পরে চুড়া আকাশে তুলি । আমি যে ভাবনার জটিল জালে বঁাধিয়া নিতে চাই সুদূর কালে6न छigख्न उाPन्म८त জড়াই ঠেসে, পথের অধিকার হারাই শেষে । ৮ দ্রষ্টব্য : “গাছপালার প্রতি ভালোবাসা’-প্রবাসী, বৈশাখ ১৩৩৪ ।