পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

كنية و لا سسسسسيا ولا শেষ সপ্তক । দুঃখ যেন জাল পেতেছে দুঃখ যেন জাল পেতেছে চারদিকে ; চেয়ে দেখি যার দিকে সবাই যেন দুরগ্রহদের মন্ত্রণায় গুমরে কাদে বস্ত্রণায় | লাগছে মনে এই জীবনের মূল্য নেই, আজকে দিনের চিত্তদাহের তুল্য নেই। যেন এ দুখ অন্তহীন, ঘরছাড়া মন ঘুরবে কেবল পন্থহীন । এমন সময় অকস্মাৎ মনের মধ্যে হানল চমক তড়িদঘাত, এক নিমেষেই ভাঙল আমার বন্ধ দ্বার, ঘুচল হঠাৎ অন্ধকার । মুদুর কালের দিগন্তলীন বাগবাদিনীর পেলেম সাড়া, শিরায় শিরায় লাগল নাড় । যুগাস্তরের ভগ্নশেষে ভিত্তিছায়ায় ছায়ামূর্তি মুক্তকেশে বাজায় বীণা ; পূর্বকালের কী আখ্যানে উদার সুরের তানের তন্তু গাথছে গানে ; দুঃসহ কোন দারুণ দুখের স্মরণ-গাথা করুণ গাথা ; দুর্দাম কোন সর্বনাশের ঝঞ্চাঘাতের মৃত্যুমাতাল বজ্রপাতের গর্ভরবে । রক্তরঙিন যে-উৎসবে রুদ্রদেবের ঘূর্ণিনৃত্যে উঠল মাতি প্রলয়রাতি, ১২৩