পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক কিছুকাল ছিলেম বিদেশে । সেখানকার শ্রাবণের ভাষা আমার প্রাণের ভাষার সঙ্গে মেলেনি । তার অভিষেক হল নী আমার আস্তরপ্রাঙ্গণে । সজল মেঘ-শুশমলের সঞ্চরণ থেকে বঞ্চিত জীবনে কিছু শীর্ণত রয়ে গেল । বনস্পতির অঙ্গের আয়তি ঐ তো দেয় বাড়িয়ে বছরে বছরে : তার কাঠফলকে চক্ৰচিহ্নে স্বাক্ষর যায়ু রেখে তেমনি ক’রে প্রতি বছরে বর্ষার আনন্দ আমার মজ্জার মধ্যে রসসম্পদ কিছু যোগ করে । প্রতিবার রঙের প্রলেপ লাগে জীবনের পটভূমিকায় নিবিড়তর ক’রে ; বছরে বছরে শিল্পকারের অঙ্গুলি-মুদ্রার গুপ্ত সংকেত অঙ্কিত হয় অন্তর-ফলকে। নিরালায় জানলার কাছে বসেছি যখন নিফর্ম প্রহরগুলো নিশা চরণে Q কিছু দান রেখে গেছে আমার দেছলিতে ; জীবনের গুপ্ত ধনের ভাণ্ডারে পুঞ্জিত হয়েছে বিশ্বত মুহূর্তের সঞ্চয়। چ س--مb <