পরিচয় 轟 8'లిపి জাতিবৈচিত্র্য ঐক্যলাভের চেষ্টা করিতেছিল সেই ব্যবস্থাটা ভূমিসাং হইয়াছে। বৌদ্ধধর্ম ঐক্যের চেষ্টাতেই ঐক্য নষ্ট করিয়াছে। ভারতবর্ষে সমস্ত অনৈক্যগুলি অবাধে মাখা তুলিয়া উঠিতে লাগিল-যাহ বাগান ছিল তাহ জঙ্গল হইয়া উঠিল। তাহার প্রধান কারণ এই, একদিন ভারতসমাজে কখনো ব্রাহ্মণ কখনো ক্ষত্রিয় যখন প্রাধান্ত লাভ করিতেছিলেন তখনও উভয়ের ভিতরকার একটা জাতিগত ঐক্য ছিল। এইজন্ত তখনকার জাতি-রচনাকাৰ আর্বদের হাতেই ছিল। কিন্তু বৌদ্ধপ্রভাবের সময় কেবল ভারতবর্ষের ভিতরকার অনার্ধের নহে ভারতবর্ষের বাহির হইতেও অনার্বদের সমাগম হইয়া তাহার এমন একটি প্রবলতা লাভ করিল ষে আর্যদের সহিত তাহাদের সুবিহিত সামঞ্জস্ত রক্ষা করা কঠিন হইয়া উঠিল। যতদিন বৌদ্ধধর্মের বল ছিল ততদিন এই অসামঞ্জস্ত অস্বাস্থ্য আকারে প্রকাশ পায় নাই কিন্তু বৌদ্ধধর্ম যখন দুর্বল হইয়। পড়িল তখন তাহা নানা অদ্ভূত অসংগতিরূপে অবাধে সমস্ত দেশকে একেবারে ছাইয়া ফেলিল । 孵 অনার্ষেরা এখন সমস্ত বাধা ভেদ করিয়া একেবারে সমাজের মাঝখানে আসিয়া । বসিয়াছে সুতরাং এখন তাহদের সহিত ভেদ ও মিলন বাহিরের নহে তাহা একেবারে সমাজের ভিতরের কথা হুইয়া পড়িল । 尊 এই বৌদ্ধপ্লাবনে আর্ধসমাজে কেবলমাত্র ব্রাহ্মণসম্প্রদায় আপনাকে স্বতন্ত্র রাখিতে পারিয়াছিল কারণ আর্যজাতির স্বাতন্ত্র্য রক্ষার ভার চিরকাল ব্রাহ্মণের হাতে ছিল । যখন ভারতবর্ষে বৌদ্ধযুগের মধ্যাহ্ন তখনও ধর্মসমাজে ব্রাহ্মণ ও শ্রমণ এ ভেদ বিলুপ্ত হয় নাই। কিন্তু তখন সমাজে আর সমস্ত ভেদই লুপ্তপ্রায় হইয়াছিল। তখন ক্ষত্রিয়ের জনসাধারণের সঙ্গে অনেক পরিমাণে মিলাইয়া গিয়াছিল। অনার্ধের সহিত বিবাহ সম্বন্ধে ক্ষত্রিয়ের প্রায় কোনো বাধা ছিল না তাহ পুরাণে স্পষ্টই দেখা যায়। এই জন্ত দেখা যায় বৌদ্ধযুগের পরবর্তী অধিকাংশ রাজবংশ ক্ষত্রিয়বংশ নহে । এদিকে শক হন প্রভৃতি বিদেশীয় অনার্ষগণ দলে দলে ভারতবর্ষে প্রবেশ করিয়া সমাজের মধ্যে অবাধে মিশিয়া যাইতে লাগিল—বৌদ্ধধর্মের কাটা খাল দিয়া এই সমস্ত বস্তার জল নানা শাখায় একেবারে সমাজের মর্মস্থলে প্রবেশ করিল। কারণ, বাধা দিবার ব্যবস্থাটা তখন সমাজ-প্রকৃতির মধ্যে দুর্বল। এইরূপে ধর্মেকর্মে অনার্থসংমিশ্রণ অত্যন্ত প্রবল হওয়াতে সর্বপ্রকার অদ্ভুত উচ্ছ,খলতার মধ্যে যখন কোনো সংগতির স্বত্র রছিল না তখনই সমাজের অন্তরস্থিত আর্ধপ্রকৃতি অত্যন্ত পীড়িত হইয়া আপনাকে প্রকাশ করিবার জগু নিজের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করিল। আর্বপ্রকৃতি নিজেকে
