পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ δου রবীন্দ্র-রচনাবলী কেদারের তথাকরণ। বেঙ্কটকে নিয়ে নবীনের প্রবেশ। মধুসূদন। এখানে দাঁড়িয়ে কী করছিস? যা তুই! { কেদারের প্রস্থান দেখো, আমার কিন্তু সময় নেই, জরুরি কাজ। আজ রাত্রেই খাতা নিয়ে পড়তে হবে। নবীন। কিছু ভয় নেই দাদা, দেরি হবে না। আসল কাজটা দশ হাজার বছর আগেই সারা হয়ে আছে। দশ-পনেরো মিনিটের মধ্যেই গ্রহচক্রাস্তের খোঁজ পাওয়া যাবে। মধুসূদন। আচ্ছা, তা হলে চট্ৰপঢ়ি শুরু করে দাও স্বামীজি। সামনে ঘড়ি খুলে রেখে দিল নবীন। দাদার ঠিকুজি এই আমি এনেছি। দেখতে চান? উলট পালটে দেখে, মাথা নেড়ে বেঙ্কট। প্ৰমাদবহুলমেতৎ। চমকে উঠে মধুসূদন। কী বলছ স্বামী, প্রমাদ? প্ৰমাদ ঘটেছে! নবীন। ভাষায় বলো প্ৰভু। বেঙ্কট। ভুলানি প্রভূতানি। নবীন। বুঝেছি। ভুল থাকে তো ওটা ফেলেই দাও-না। আঁকি কষে বেঙ্কট। পঞ্চম বৰ্গঃ। আঙুলের পর্ব গুনতে শুনতে ক বৰ্গ চ বৰ্গ, টি বর্গ ত বৰ্গ, প বর্গ। পঞ্চম বর্ণ, প ফ ব ভ ম । মধুসূদন। বিদ্যেসাগরের বর্ণপরিচয় আওড়াতে শুরু করলে যে, একেবারে গোড়া থেকেই। তা হলে তো রাত পুঁইয়ে যাবে! (क) || ११४भद्रक९|| হাঁটু চাপড়ে নবীন। পঞ্চাক্ষর! বুঝেছি। দাদা। কী আশ্চর্য মধুসূদন। কী বুঝলে ? নবীন। পঞ্চম বর্গের পঞ্চম বর্ণােম, তাকে নিয়ে পাঁচটা অক্ষর। মধুসূদ-ন! জন্মগ্রহের অদ্ভূত কৃপায় তিনটে পাঁচ এক জায়গায় এসে ঠেকেছে। একে বলে পাঁচের ত্রিবেণীসংগম। কী বলো স্বামী? গভীরভাবে বেঙ্কট। ইত্যেব। h নস্যগ্রহণ নবীন। দাদা, দেখলে কাণ্ড ? নামকরণ হয়েই গেছে। ভৃগুমুনির খাতায়- সত্যযুগে— বাপমা তো উপলক্ষ। তপস্যার কী জোর! বাস রে! মনে করলে শরীর রোমাঞ্চিত হয়! : বেঙ্কট। সহৰ্ণোৰ্থঃ। নসংগ্রহণ