পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

· 6ነዓwo) দেব-দেবতাগণ स्टन জন্ম নিতে মানবে।-- এই মানুষে হবে মাধুর্যভজন তাইতে মানুষ-রূপ গঠিল। নিরজন । এবার ঠাকলে আর ना 0मथेि क्लेिना, eep Velo এই ছন্দের ভঙ্গি একঘেয়ে নয় । ছোটাে বড়ো নানা ভাগে বাকে বাকে চলেছে। সাধুপ্রসাধনে মোজে-ঘযে এর শোভা বাড়ানো চলে, আশা করি এমন কথা বলবার সাহস হবে না। কারও । এই খাটি বাংলায় সকল রকম ছন্দেই সকল কাব্যই লেখা সম্ভব, এই আমার বিশ্বাস । ব্যঙ্গকবিতায় এ ভাষার জোর কত ঈশ্বর গুপ্তের কবিতা থেকে তার নমুনা দিই শকুইন ভিক্টোরিয়াকে সম্বোধন করে কবি বলছেন তুমি মা কল্পতরু, আমরা সব পোষা গোরু শিখিনি শিঙ-বাকানো, কেবল খাব খোল-বিচিলি ঘাস । যেন রাঙা আমলা তুলে মামলা গামলা ভাঙে না, আমরা ভুষি পেলেই খুশি হব। ঘুষি খেলে বাচিব না । কেবল এর হাসিটা নয়, এর ছন্দের বিচিত্র ভঙ্গিটা লক্ষা করে দেখবার বিষয় । অথচ, এই প্ৰাকৃত-বাংলাতেই ‘মেঘনাদবধ কাব্য লিখলে যে বাঙালিকে লজা দেওয়া হত। সে কথা স্বীকার করব না । কাব্যটা এমন ভাবে আরম্ভ করা যেত যুদ্ধ তখন সাঙ্গ হল বীরবাহু বীর যাবে বিপুল বীর্য দেখিয়ে হঠাৎ গেলেন মৃত্যুপুরে । যৌবনকাল পার না হতেই । কও মা সরস্বতী, অমৃতময় বাক্য তোমার, সেনাধ্যক্ষপদে কোন বীরকে বরণ করে পাঠিয়ে দিলেন রণে রঘুকুলের পরম শত্ৰু, রক্ষকুলের নিধি । এতে গাভীর্যের ত্রুটি ঘটেছে। এ কথা মানব না । এই যে বাংলা বাঙালির দিনরাত্রির ভাষা এর একটি মস্ত গুণ, এ ভাষা প্ৰাণবান। এইজনো সংস্কৃত বলো, ফার্সি বলো, ইংরেজি বলো, সব শব্দকেই প্ৰাণের প্রয়োজনে আত্মসাৎ করতে পারে। খাটি হিন্দি ভাষারও সেই গুণ। যারা হোড়পণ্ডিত মহাশয়ের কাছে পড়ে নি তাদের একটা লেখা তুলে দিই 5न्यू डै।ाक्षाल निएलन (ाकाश কেশের আড়ে পাহাড় লুকায়, কী রঙ্গ সাই দেখছে সদাই বসে নিগম ঠাই ।