পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(28 রবীন্দ্র-রচনাবলী NR RI (NAMN VIG চিনিব তবে কেমন করে, VEV VENINGS VG চিনতে যদি পাই । প্রাকৃত-বাংলাকে গুরুচণ্ডালি দোষ স্পৰ্শই করে না। সাধু ছাদের ভাষাতেই শব্দের মিশোল সয় না। চলতি বাংলাভাষার প্রসঙ্গটা দীর্ঘ হয়ে পড়ল। তার কারণ, এ ভাষাকে ধারা প্রতিদিন ঘরে দেন। স্থান, তাদের অনেকে সাহিত্যে একে অবজ্ঞা করেন। সেটাতে সাহিত্যকে তার প্রাণরসের মূল আধার থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে জেনে আমার আপত্তিকে বড়ো করে জানালুম । ছন্দের তত্ত্ববিচারে ভাষার অন্তনিহিত ধ্বনিপ্রকৃতির বিচার অত্যাবশ্যক, সেই কথাটা এই উপলক্ষে বোঝাবার চেষ্টা করেছি। বাংলা ছন্দের তিনটি শাখা। একটি আছে পুথিগত কৃত্রিম ভাষাকে অবলম্বন করে, সেই ভাষায় বাংলার স্বাভাবিক ধ্বনিরাপকে স্বীকার করে নি । আর-একটি সচল বাংলার ভাষাকে নিয়ে, এই ভাষা বাংলার হসন্ত-শব্দের ধ্বনিকে আপনি বলে গ্রহণ করেছে। আর-একটি শাখার উদগম হয়েছে সংস্কৃত ছন্দকে বাংলায় ভেঙে নিয়ে । শিখরিণী মালিনী মন্দাক্রান্তা শাৰ্দলবিক্ৰীড়িত প্রভৃতি বড়ো বড়ো গভীরচালের ছন্দ গুরুসবুন্বরের যথানির্দিষ্ট বিন্যাসে অসমান মাত্রাভাগের ছন্দ । বাংলায় আমরা বিষমমাত্রামূলক ছন্দ কিছু কিছু চালিয়েছি, কিন্তু বিষম্যমাত্রার ঘনঘন পুনরাবৃত্তির দ্বারা তারও একটা সম্মিতি রক্ষা হয় । নাকটা তা কি জানে । এখানে বিষমমাত্রার পদগুলি জোড়ে-জোড়ে এসে চলনের অসমানতা ঘুচিয়ে দিয়েছে। কিন্তু, সংস্কৃত ভাষায় বিষমমাত্রার বিস্তার আরো অনেক বড়ো । এই সংস্কৃত ছন্দের দীর্ঘহুৰ্থ স্বরকে সমান করে নিয়ে কেবলমাত্র মাত্রা মিলিয়ে ছন্দ রচনা বাংলায় দেখেছি, সে বহুকাল পূর্বে ‘স্বপ্নপ্রয়াণ এ । কি লো। তবে, কতদিন পরান রবে: অমনি করি । হইয়ে জলহীন যথা মীন রহিবি ওলো কতদিন মরমেমরি।” as 2.45 et Nary N. সংস্কৃত ছন্দে বিবিধ মাত্রার এই গতিবৈচিত্ৰ্য যা সন্মিতি উপেক্ষা করেও ভঙ্গিলীলা বাঁচিয়ে চলে, বাংলায় তার অনুকৃতি এখনো যথেষ্ট প্রচলিত হয় নি। নূতন ছন্দ বাংলায় সৃষ্টি করবার শখ ধাদের প্রবল, এই পথে তারা অনেক নূতনত্বের সন্ধান পাবেন । তবু বলে রাখি, তাতে তারা সংস্কৃত ছন্দের মোট আয়তনটা পাবেন, তার ধবনিতরঙ্গ পাবেন না । মন্দাক্রান্তার মাত্রা-গোনা একটা বাংলা ছন্দের ମଧୁମୀ (୩:୫୩, ୪୩୫