পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোড়ায় গলদ ২১৫ দ্বিতীয় দৃশ্য চন্দ্রকান্তের অন্তঃপুর চন্দ্রকান্ত ও ক্ষাস্তমণি চন্দ্রকান্ত । বড়োবউ, ও বড়োবউ। চাবিটা দাও দেখি । ক্ষান্তমণি । কেন জীবনসর্বস্ব নয়নমণি, দাসীকে কেন মনে পড়ল ? চন্দ্রকান্ত । ও আবার কী । ক্ষাস্তমণি। নাথ, একটু বসে, তোমার ঐ মুখচন্দ্রমা বসে বসে একটু নিরীক্ষণ করি— চন্দ্রকান্ত । ব্যাপারটা কী । যাত্রার দল খুলবে নাকি। আপাতত একটা সাফ দেখে চাদর বের করে দাও দেখি, এখনি বেরোতে হবে— ক্ষান্তমণি । ( অগ্রসর হইয়া ) আদর চাই । প্রিয়তম । তা আদর করছি ! চন্দ্রকান্ত । ( পশ্চাতে হঠিয়া ) অারে ছি ছিছি ! ও কী ও ! ক্ষাস্তমণি । নাথ, বেলফুলের মালা গেথে রেখেছি এখন কেবল চাদ উঠলেই হয় —কিন্তু সেই শোলোকটি লিখে দিয়ে যাও, আমি ততক্ষণ মুখস্থ করে রাখি— চন্দ্রকান্ত । ও: ! গুণবর্ণনা আড়াল থেকে সমস্ত শোনা হয়েছে দেখছি । বড়োবউ, কাজটা ভালো হয়নি । ওটা বিধাতার অভিপ্রায় নয়— তিনি মাহুষের শ্রবণশক্তির একটা সীমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন— তার কারণই হচ্ছে পাছে অসাক্ষাতে যে কথাগুলো হয় তাও মানুষ শুনতে পায় ; তা হলে পৃথিবীতে বন্ধুত্ব বল, আত্মীয়তা বল, কিছুই টি কতে পারে না । ক্ষাস্তমণি । ঢের হয়েছে গোসাই ঠাকুর, আর ধর্মোপদেশ দিতে হবে না। আমাকে তোমার পছন্দ হয় না, না? চন্দ্রকান্ত । কে বললে পছন্দ হয় না ? ক্ষান্তমণি । আমি গদ্য আমি পদ্য নই, আমি শোলোক পড়িনে, আমি বেলফুলের মালা পরাইনে— চন্দ্রকাস্ত । আমি গললগ্নীকৃতবস্ত্র হয়ে বলছি দোহাই তোমার, তুমি শোলোক পোড়ো না, তুমি মালা পরিয়ো না, ওগুলো সবাইকে মানায় না— ক্ষান্তমণি। কী বললে ? J& 崛 °CーRv