পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী এ অনস্ত চরাচরে স্বর্গমর্ত্য ছেয়ে সব চেয়ে পুরাতন কথা, সব চেয়ে গভীর ক্ৰন্দন “যেতে নাহি দিব” । হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায় । চলিতেছে এমনি অনাদি কাল হতে । প্ৰলয়সমুদ্রবাহী স্বজনের স্রোতে । প্রসারিত-ব্যগ্র-বাহু জলস্ত আঁখিতে “দিব না দিব না যেতে” ডাকিতে ডাকিতে হস্থ করে তীব্ৰবেগে চলে যায় সবে পূর্ণ করি বিশ্বতট আর্ত কলরবে । সম্মুখ-উৰ্মিরে ডাকে পশ্চাতের ঢেউ “দিব না দিব না যেতে”—নাহি শুনে কেউ নাহি কোনো সাড়া । চারি দিক হতে অণজি অবিশ্রাম কৰ্ণে মোর উঠিতেছে বাজি সেই বিশ্ব-মৰ্মভেদী করুণ ক্ৰন্দন মোর কন্যাকণ্ঠস্বরে ; শিশুর মতন বিশ্বের অবোধ বাণী । চিরকাল ধরে যাহা পায় তাই সে হারায়, তবু তো রে শিথিল হল না মুষ্টি, তবু অবিরত সেই চারি বৎসরের কন্যাটির মতো অক্ষুন্ন প্রেমের গর্বে কহিছে সে ডাকি, “যেতে নাহি দিব” । মানমুখ, অশ্রু-আঁখি, দণ্ডে দণ্ডে পলে পলে টুটিছে গরব তবু প্রেম কিছুতে না মানে পরাভব, তবু বিদ্রোহের ভাবে রুদ্ধ কণ্ঠে কয়, “যেতে নাহি দিব” । ষত বার পরাজয় Q\○