পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծ8Հ ब्रवैौड-ब्रध्नांबलौ নিজের মনটাকেও একটা স্বাভাবিক স্বভৗত্র অবস্থায় নিয়ে যাওয়া গেছে এমন সময় যদি হঠাৎ একটা সংশয়বজ পড়ে, সেই-সমস্ত ক্ষীর্ঘকালের কৃত্রিম প্রাচীর ভেঙে যায়, তখন হঠাৎ প্রকৃতির শোভা, স্বর্ষের আলোক এবং বিশ্বজনের কঙ্গোলগান এসে তন্ত্রমন্ত্ৰ ধূপধুনার স্থান অধিকার করে এবং তখন দেখতে পাই— সেই যথার্থ আরাধনা এবং তাতেই দেবতার তুষ্টি । "দুই পাখি’ কবিতা-প্রসঙ্গে জীবনস্মৃতির নিম্নোদ্ধত অংশ প্রণিধান যোগ্য : বাড়ির বাহিরে আমাদের যাওয়া বারণ ছিল ; এমন কি বাড়ির ভিতরেও আমরা সর্বত্র যেমন-খুশি যাওয়া-আসা করিতে পারিতাম না । সেইজন্য বিশ্ব প্রকৃতিকে আড়াল-আবভাল হইতে দেখিতাম । বাহির বলিয়া একটি অনন্ত প্রসারিত পদার্থ ছিল যাহা আমার অতীত, অথচ যাহার রূপ শব্দ গন্ধ দ্বার-জানালার নানা ফাক-ফুকর দিয়া এদিক ওদিক হইতে আমাকে চকিতে ছুইয়া বাইত। সে যেন গরাদের ব্যবধান দিয়া নানা ইশারায় আমার সঙ্গে খেলা করিবার নানা চেষ্টা করিত। সে ছিল মুক্ত, আমি ছিলাম বদ্ধ, মিলনের উপায় ছিল না, সেইজন্ত প্রণয়ের আকর্ষণ ছিল প্রবল। আজ সেই খড়ির গণ্ডি মুছিয়া গেছে, কিন্তু গত্তি তবু ঘোচে নাই । দূর এখনো দূরে, বাহির এখনো বাহিরেই। বড়ো হইয়া যে-কবিতাটা লিথিয়াছিলাম তাহাই মনে পড়ে— খাচার পাখি ছিল সোনার খাচাটিতে বনের পাখি ছিল বনে ।... ‘খুলন’ কবিতাটি সম্পর্কে, সাহিত্যের পথে’ ( ১৩৪৩ ) গ্রন্থে সংকলিত ‘সাহিত্যতত্ত্ব" প্রবন্ধে কবি মন্তব্য করিয়াছেন : বদ্ধ জল যেমন বোবা, গুমট হাওয়া যেমন আত্মপরিচয়হীন, তেমনি প্রাত্যহিক আধমরা অভ্যাসের একটানা আবৃত্তি ঘা দেয় না চেতনায়, তাতে সত্তাবোধ নিস্তেজ হয়ে থাকে । তাই দুঃখে বিপদে বিদ্রোহে বিপ্লবে অপ্রকাশের আবেশ কাটিয়ে মানুষ আপনাকে প্রবল জাবেগে উপলব্ধি করতে চায় । n sk একদিন এই কথাটি জামার কোনো একটি কবিতায় লিখেছিলেম । বলেছিলেম, আমার অন্তরতম আমি আলতে আবেশে বিলাসের প্রশ্রয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, নির্দয় আঘাতে তার জলাভূত ঘুচিয়ে তাকে জাগিয়ে ভুলে