পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ०२ রবীন্দ্র-রচনাবলী তেমনি যে এই সভার উচ্ছ্বাস চতুর্দিকে ছড়িয়ে ফেলে নিবিড় উল্লাস— যুগের পরে যুগে তৰু হয় না গতিহারা, হয় না ক্লাস্ত অনাদি সেই ধারা । সেই পুরাতন অনির্বচনীয় সকালবেলায় রোজ দেখা দেয় কি ও আমার চোখের কাছে ভিড়-করা ঐ শালিখণ্ডলির নাচে । আদিমকালের সেই আননা ওদের নৃত্যবেগে রূপ ধ’রে মোর রক্তে ওঠে জেগে । তবুও দেখি কখন কদাচিৎ বিরূপ বিপরীত— প্রাণের সহজ স্বযম যায় ঘুচি, চঞ্চুতে চঞ্চুতে খোচাখুচি ; পরাভূত হতভাগ্য মোর ছয়ারের কাছে ক্ষত-অঙ্গে শরণ মাগিয়াছে । দেখেছি সেই জীবন-বিরুদ্ধতা, হিংসার ক্রুদ্ধতা— যেমন দেখি কুহেলিকার কুত্র অপরাধ, শীতের প্রাতে আলোর প্রতি কালোর অপবাদ — ংকৃত ক্ষণিকতার অলীক পরিচয়, অসীমতার মিথ্যা পরাজয় । তাহার পরে আবার করে ছিক্সেরে গ্রন্থন সহজ চিরন্তন । প্রাণোৎসবে অতিথিরা আবার পাশাপাশি মহাকালের প্রাঙ্গণেতে নৃত্য করে আসি । শু্যামলী, শাস্তিনিকেতন yات إج لا وينا