পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীক্স-রচনাবলী من 4 لا সদাগর। ভাই সাঙাত, এখানে তো আর সহ হচ্ছে না। এরা যে বিধাতার ব্যঙ্গ । এদের মধ্যে পড়ে আমরা স্বদ্ধ মাটি হয়ে যাব । রাজপুত্র। ভিতরে ভিতরে কী ঘটছে, সেটা কি তোমার চোখে পড়ে না। পুতুলের মধ্যে প্রথম প্রাণের সঞ্চার কি অনুভব করছ না। আমি তো শেষ পর্যস্ত না দেখে যাচ্ছি নে । সদাগর। কিন্তু, এ ষে জীবন্মতের খাচী, নিয়মের জারকরলে জীর্ণ এদের মন । রাজপুত্র। ঐ দিকে চোখ মেলে দেখো দেখি । সদাগর। তাই তো, বন্ধু, লেগেছে সমুদ্রপারের মন্ত্র। ইস্কীবনের নহলা গাছের তলায় পা ছড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে, দেখছি এখানকার নিয়ম গেল উড়ে । রাজপুত্র। চিড়েতনীর পায়ের শব্দ শুনছে আকাশ থেকে । এ সময়ে বোধহয় আমাদের সঙ্গটা ওর পছন্দ হবে না। চলো, আমরা সরে যাই । [ প্রস্থান তৃতীয় দৃশ্য প্রসাধনে রত ইস্কাবনী । টেক্কানীর প্রবেশ টেক্কানী । *jांन বলো, সখী, বলে তারি নাম আমার কালে কালে যে-নাম বাজে তোমার বীণার তানে তানে । বসস্তবাতাসে বনবীথিকায় সে-নাম মিলে যাবে, বিরহী বিহঙ্গ-কলগীতিকায় লে-নাম মদির হবে-যে বকুলম্রাণে । নাহয় সখীদের মুখে মুখে সে-নাম দোলা খাবে সকৌতুকে । পূর্ণিমারাতে একা ববে অকারণে মন উতলা হবে সে-নাম শুনাইব গানে গানে ।