পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰহাসিনী নূতন বই কি চাই। নূতন পঞ্জিকাখানা কিনে মাথায় ঠেকায়ে তারে প্রণাম করুক শুভদিনে । আর অাছে পাচালির ছড়া, বুদ্ধিতে জড়াবে জোরে ন্যাশঙ্কাল কালচারের দড়া । দুৰ্গতি দিয়েছে দেখা ; বঙ্গনারী ধরেছে শেমিজ, বি-এ এম-এ পাস ক’রে ছড়াইছে বীজ যুক্তি-মানা ঘোর মেচ্ছতার । ধর্মকর্ম হল ছারখার । শীতলামায়ীরে করে হেলা ; ৰসস্তের টিক নেয় ; ‘গ্রহণের বেলা গঙ্গশক্ষানে পাপ নাশে’ শুনিয়া মূর্থের মতো হাসে । তবু আজও রক্ষণ আছে, পবিত্র এ দেশে অসংখ্য জন্মেছে মেয়ে পুরুষের বেশে । মন্দির রাঙায় তারা জীবরক্তপাতে, সে-রক্তের ফোটা দেয় সস্তানের মাথে । কিন্তু, যবে ছাড়ে নাড়ী । ভিড় ক’রে আসে দ্বারে ডাক্তারের গাড়ি । অঞ্জলি ভরিয়া পূজা নেন সরস্বতী, পরীক্ষা দেবার বেলা নোটবুক ছাড়া নেই গতি । পুরুষের বিদ্যে নিয়ে কলেজে চলেছে যত নারী ७झे याल उठांख्रहे । মেয়েদের বুদ্ধি নিয়ে পুরুষ যখন ঠাগু হবে, দেশখানা রক্ষা পাবে তবে । বুঝি নে একটা কথা, ভয়ের তাড়ায় দিন দেখে তবে ঘেখা ঘরের বাহিরে পা বাড়ায় সেই দেশে দেবতার কুপ্রথা অদ্ভুত, সবচেয়ে অনাচারী লেখা যমদূত । 이● ¢ግ