পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぐしb* রবীন্দ্র-রচনাবলী বিশুদ্ধ ইঙ্গিত সে মাত্র, তাহার অধিক কী সে, কিসের বা ইঙ্গিত সে জিনিস, ভেবে কে পায় দিশে । নিউসপেপার অাছে পাবে প্রমাণযোগ্য বাক্য, মকদ্দমার দলিল আছে ঠিক কথাটার সাক্ষ্য । কাব্য বলে বেঠিক কথা, এক হয়ে যায় আর— যেমন বেঠিক কথা বলে নিখিল সংসার । অাজকে যাকে বাপ দেখি কালকে দেখি তারা, কেমন করে বস্তু বলি প্রক ও ইশারা । ফোটা-ঝরার মধ্যখানে এই জগতের বাণী কী ষে জানায় কালে কালে স্পষ্ট কি তা জানি । বিশ্ব থেকে ধার নিয়েছি তাই আমরা কবি সত্য রূপে ফুটিয়ে তুলি অবাস্তবের ছবি । ছন্দ ভাষা বাস্তব নয়, মিল যে অবাস্তব— নাই তাহাতে হাট-বাজারের গদ্য কলরব । হা-য়ে না-য়ে যুগল নৃত্য কবির রঙ্গভূমে । এতক্ষণ তো জাগায় ছিলুম এখন চলি ঘুমে । উদয়ন, শাস্তিনিকেতন ১৯ জানুয়ারি, ১৯৪১ । সন্ধ্যা লিখি কিছু সাধ্য কী লিখি কিছু সাধ্য কী ! যে দশা এ অভাগীর লিখিতে সে বাধ্য কি । মশা-বুড়ি মরেছিল চাপড়ের যুদ্ধে সে— পরলোকগত তার আত্মার উদেশে আমারি লেখার ঘরে আজি তার শ্রাদ্ধ কি ! যেখানে যে কেহ ছিল আত্মীয় পরিজন অভিজাতবংশীয় কেহু, কেহ হরিজন—