পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খেয়া বেঁধে নে তোর সেতারখানা রেখে দে তোর খোজা । পী ছড়িয়ে ব’স রে হেথায় সারাদিনের শেষে, তারায়-ভরা আকাশতলে সব-পেয়েছির দেশে । সার্থক নৈরাশ্য তখন ছিল যে গভীর রাত্রিবেলা নিদ্রা ছিল না চোখের কোণে ; আষাঢ় আঁধারে আকাশে মেঘের মেলা, কোথাও বাতাস ছিল না বনে । বিরাম ছিল না তপ্ত শয়ন তলে, কাঙাল ছিল বসে মোর প্রাণে ; দু-হাত বাড়ায়ে কী জানি কী কথা বলে, কাঙাল চায় যে কারে কে জানে । দিল আঁধারের সকল রন্ধ ভরি তাহার ক্ষুব্ধ ক্ষুধিত ভাষা ; মনে হল যেন বর্ষার বিভাবরী আজি হারাল রে সব আশ । অনাথ জগতে যেন এক সুপ আছে, তাও জগং খুজে না মেলে ; আঁধারে কপন সে এসে যায় গো পাছে বুকে রেখেছে আগুন জেলে । দাও দাও বলে হাকিছু সুদূরে চেয়ে আমি ফুকারি ডাকিছু কারে । এমন সময়ে অরুণ-তরণী বেয়ে প্রভাত নামিল গগনপারে । סאלל