পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫ e রবীন্দ্র-রচনাবলী করে নি দেখছি। যাই হ’ক তিনি তো রাজসভায় ছত্রধরের গলায় মালা দিতে পারবেন না অথচ অধিক দূরে যেতেও মন সরবে না অতএব যেমন করেই হ’ক এ মালা আমারই রাজছত্রের ছায়ায় এসে পড়বে। সুবর্ণ। মহারাজ, আমার সম্বন্ধে এই যে-সব অমূলক কল্পনা করছেন এ অর্তি ভয়ানক কল্পনা—দোহাই আপনার, আমাকে এই মিথ্যা বিপত্তিজালের মধ্যে জড়াবেন না—আমাকে মুক্তি দিন । কাঞ্চী । কাজটি শেষ হয়ে গেলেই তোমাকে মুক্তি দিতে এক মুহূর্তও বিলম্ব করব না । উদ্দেশুসিদ্ধি হয়ে গেলেই উপায়টাকে কেউ আর চিরস্মরণীয় করে রাখে না । $8 বাতায়ন সুদৰ্শন ও সুরঙ্গম সুদৰ্শন । তাহলে স্বয়ংবরসভায় আমাকে যেতেই হবে ? নইলে পিতার প্রাণরক্ষ হবে না ? সুরঙ্গম । কাঞ্চীরাজ তো এইরকম বলেছেন । সুদৰ্শন । এই কি রাজার উচিত কথা ? তিনি কি নিজের মূপে বলেছেন ? সুরঙ্গমা । না, তার দূত সুবর্ণ এসে জানিয়ে গেছে । সুদৰ্শন । ধিক, ধিক আমাকে । সুরঙ্গমা । সেই সঙ্গে কতকগুলি শুকনে ফুল দিয়ে আমাকে বললে, তোমার রানীকে ব’লে বসন্ত-উংসবের এই স্মৃতিচিহ্ন বাইরে যত মলিন হয়ে আসছে অস্তরে ততই নবীন হয়ে বিকশিত হচ্ছে । সুদৰ্শন । চুপ কর, চুপ কর, আমাকে আর দগ্ধ করিস নে । সুরঙ্গমা। ওই দেখো, সভায় রাজারা সব বসেছেন। ওই র্যার গায়ে কোনো আভরণ নেই কেবল মুকুটে একটি ফুলের মালা জড়ানো উনিই হচ্ছেন কাঞ্চীর রাজা । সুবর্ণ র্তার পিছনে ছাতা ধরে দাড়িয়ে আছে। সুদৰ্শন। ওই সুবর্ণ। তুই সত্যি বলছিস । সুরঙ্গমা। ই মা, আমি সত্যি বলছি ।