পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫ ০ রবীন্দ্র-রচনাবলী আধ্যাত্মিক হয়ে ঠিক ভ্রর মধ্যবিন্দুতে কিংবা নাসিকার অগ্রভাগে অহৰ্নিশি আপনাকে নিবিষ্ট করে রেখে দিই সে পরের কথা । আশা করি আমরা নানা ভ্রম এবং নানা অণঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে সেই পূর্ণ মহন্তত্বের দিকেই যাচ্ছি। এখনও আমরা দুই বিপরীত শক্তির মধ্যে দোদুল্যমান ; তাই উভয় পক্ষের সত্যকেই অনিশ্চিত ছায়ার মতে অস্পষ্ট দেখাচ্ছে ; কেবল মাঝে মাঝে ক্ষণেকের জন্য মধ্য আশ্রয়টি উপলব্ধি করে ভবিষ্যতের পক্ষে একটা স্থির আশাভরসা জন্মে। আমার এই অসংলগ্ন অসম্পূর্ণ রচনায় পর্যায়ক্রমে সেই আশা ও আশঙ্কার কথা ব্যক্ত হয়েছে। >ミぶb" অযোগ্য ভক্তি ইষ্ট আর পুরোহিত যাহা হতে সর্বস্থিত তারা যদি আসে বাড়ি পরে, শুধু হাতে প্ৰণামেতে ভার হয়ে যান তাতে মুখে হাসি অন্তরে বেজার। তিন টাকা নগদে দিলে চরণ তুলি মাথা পরে প্রসন্ন বদনে দেন বর । উল্লিখিত শ্লোক তিনটি টাকা সম্বন্ধীয় একটি ছড়া হইতে উদ্ধৃত করিয়া দিলাম। ইহার ছন্দ মিল এবং কবিত্ব সম্বন্ধে আমি কোনো জবাবদিহি স্বীকার করিতে প্রস্তুত নই। কেবল দেখিবার বিষয় এই যে, ইহার মধ্যে যে-সত্যটুকু বর্ণিত হইয়াছে তাহ আমাদের দেশে সাধারণের মধ্যে প্রচলিত, তাহা সর্ববাদিসম্মত । টাকার যে কী আশ্চর্য ক্ষমতা তাহারই অনেকগুলি দৃষ্টাস্তের মধ্যে আমাদের অখ্যাতনামা কবি উপরের দৃষ্টান্তটিও নিবিষ্ট করিয়াছেন । কিন্তু এ দৃষ্টাস্তে টাকার