পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মদিনে ছিন্ন করি অর্থের শৃঙ্খলপাশ সাধুসাহিত্যের প্রতি ব্যঙ্গহাস্তে হানে পরিহাস । সব ছেড়ে অধিকার করে শুধু শ্রুতি— বিচিত্র তাদের ভঙ্গী, বিচিত্র আকৃতি । বলে তারা, আমরা যে এই ধরণীর নিশ্বসিত পবনের আদিম ধ্বনির জন্মেছি সন্তান, যখনি মানবকণ্ঠে মনোহান প্রাণ নাড়ীর দোলায় সদ্য জেগেছে নাচিয়৷ উঠেছি বাচিয়া । শিশুকণ্ঠে আদিকাব্যে এনেছি উচ্ছলি অস্তিত্বের প্রথম কাকলি । গিরিশিরে যে পাগল-ঝোর শ্রাবণের দূত, তারি আত্মীয় আমর আসিয়াছি লোকালয়ে স্বষ্টির ধ্বনির মন্ত্র লয়ে। মৰ্মরমুখর বেগে যে ধ্বনির কলোৎসব অরণ্যের পল্লবে পল্লবে, যে ধ্বনি দিগন্তে করে ঝড়ের ছন্দের পরিমাপ, নিশাস্তে জাগায় যাহ। প্রভাতের প্রকাও প্ৰলাপ, সে ধ্বনির ক্ষেত্র হতে হরিয়া করেছে পদানত বন্য ঘোটকের মতে। মানুষ শব্দেরে তার জটিল নিয়মসুত্ৰজালে বার্তাবহনের লাগি অনাগত দূর দেশে কালে । বল্লাবদ্ধ শবদ-অশ্বে চড়ি মানুষ করেছে দ্রুত কালের মন্থর যত ঘড়ি । জড়ের আচল বাধ। তৰ্কবেগে করিয়া হরণ অদৃশ্ব রহস্যলোকে গহনে করেছে সঞ্চরণ, বুহে বাধি শব্দ-অক্ষৌহিণী প্রতি ক্ষণে মূঢ়তার আক্রমণ লইতেছে জিনি। ぬ>